রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ, ১৪৪৫ | ০৭:৪৯ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


সোমবার, ২২ অক্টোবর ২০১৮ ০১:৫২:৪৩ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

সহজ জয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সহজ জয়ে সিরিজ শুরু করলো বাংলাদেশ। ২৮ রানের জয় নিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো টাইগাররা। শুরুটা ভালোই করেছিল জিম্বাবুয়ে। দলীয় ৪১ রানের মাথায় ওপেনিং জুটিতে আঘাত হাঁনেন মোস্তাফিজুর রহমান। দারুণ এক কাটারে দ্রুত রান তুলতে থাকা সিফাস জুয়াওয়ের অফ স্ট্যাম্প উপড়ে দেন। ব্রেন্ডন টেইলরকে স্থায়ী হতে দেননি নাজমুল ইসলাম অপু। বোল্ড হওয়ার আগে টেইলরের ব্যাট থেকে আসে ৫ রান। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট ঝরতে থাকে সফরকারীদের। ২১ রানে অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ফিরে যাওয়ার পর সিকান্দার রাজাকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন অপু। প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন ক্রেইগ এরভিন। তবে ২৪ রানে তাকে বোল্ড করে থামিয়ে দেন মেহেদী মিরাজ। শেষ দিকে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছিলো পিটার মুর এবং ব্রান্ডন মাভুটা। দু'জনকেই তুলে নিয়ে জিম্বাবুয়ের হারটা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন মিরাজ। একপাশ আগলে দাঁড়িয়ে থাকা উইলিয়ামস শেষ দিকে সঙ্গী হিসেবে পান কাইল জার্ভিসকে। এ দু'জনের ৬৭ রানের জুটি কেবল ব্যাবধানই কমিয়েছে। বাংলাদেশের হয়ে ৩টি উইকেট তুলে নিয়েছেন মেহেদী মিরাজ। নাজমুল হাসান অপু নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন মোস্তাফিজ এবং মাহমুদুল্লাহ। এরআগে ইমরুল কায়েসের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসে ভর করে ২৭১ রান তোলে বাংলাদেশ।ব্যাটিং করতে নেমে যেখানে উইকেট বৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের সেখানে দিশা দেখিয়েছে ইমরুলের ব্যাট। শুধু উইকেটেই থাকেননি শেষ দিকে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে ঝড় তুলেছেন। জিম্বাবুয়ের সামনে দাঁড় করান ২৭২ রানের লক্ষ্য। শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে মাশরাফির আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্তটাকে সঠিক প্রমাণ করতে ইমরুলকে খেলতে হয়েছে উনপঞ্চাশ ওভার পর্যন্ত। শুরুতে ৪ রানে লিটন দাসকে ফেরান চাতারা। অভিষেকটা রঙিন করতে পারলেন না ফজলে মাহমুদ। ৪ বল খেলে কোনো রান যোগ না করেই ফিরে যান সাজঘরে। মুশফিকও (২০) ছিলেন অনুজ্জ্বল। মোহাম্মদ মিঠুন লড়াইটা ভালোই করছিলেন। কিন্তু তিনিও থেমে যান ৩৭ রানে। মিঠুনের পর মাহমুদুল্লাহ (০) এবং মিরাজকে (১) দ্রুত ফেরান কাইল জার্ভিস। ১৩৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা বাংলাদেশকে দিশা দেখান ইমরুল। তার নিঃসঙ্গতার দুঃখ ঘোচান মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। এ দু'জন গড়েন ১২৭ রানের ইনিংস। টেল এন্ডে তাদের দু'জনের ঝড়ে ঢেউ উঠে কানায় কানায় পূর্ণ বিমর্ষ গ্যালারিতে। ১৪০ বলে ক্যারিয়ার সেরা ১৪৪ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস খেলে ফেরেন ইমরুল। ম্যাচের বাকি তখন ১.৩ ওভার। ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতকের পথে ১৩টি বাউন্ডারি এবং ৬টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ওয়ানডেতে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস (মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে যৌথভাবে)। সর্বোচ্চ ইনিংসি তামিম ইকবালের। ২০০৯ সালে বুলাওয়েতে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৫৪ রান করেছিলেন তামিম। ইমরুল ফিরে যাওয়ার পর ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক তুলে নেন সাইফুদ্দিন। ৫০ রানে তাকে ফেরান চাতারা। স্কোর: বাংলাদেশ ২৭১/৮ (৫০.০) কায়েস ১৪৪, মিঠুন ৩৭, সাইফুদ্দিন ৫০; জার্ভিস ৩৭/৪, চাতারা ৫৪/৩। জিম্বাবুয়ে ২৪৩/৯ (৫০.০) জুয়াও ৩৫, জার্ভিস ৩৭, উইলিয়ামস ; মিরাজ ৪৬/৩, অপু ৩৮/২।





আরো খবর