সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলকদ, ১৪৪৫ | ১২:২৫ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


শুক্রবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:৩৫:২৩ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

এবার শিরোপাটা উঠুক এক ‘কিংবদন্তির’ হাতে

হাঁটুতে বারবার ইনজুরির হানা। অসংখ্যবার যেতে হয়েছে ছুরি-কাঁচির নিচে। শরীরে সেই ধকলটা থেকেই গেছে। তবু থেমে থাকেননি মাশরাফি বিন মুর্তজা। জান বাজি রেখেই দেশের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছেন খেলতে। এমন লড়াকু মানসিকতা নিয়ে যিনি দিনের পর পর দিন খেলে যাচ্ছেন, বড় টুর্নামেন্টের শিরোপা তার একটি প্রাপ্যই। এবার সেটিই ম্যাশের হাতে দেখতে চান ভক্ত-সমর্থকরা। সবার প্রত্যাশা, এশিয়া কাপের ১৪তম আসরের শিরোপাটা উঠুক অকুতোভয় এ সৈনিকের হাতে। তাতে টুর্নামেন্টটিই সার্থক হবে। বাংলাদেশ অধিনায়ক পাকিস্তানের বিপক্ষে শোয়েব মালিকের ক্যাচটি ধরার পর এ নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে। দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন মালিক। অঘোষিত সেমিফাইনালে যেভাবে খেলে যাচ্ছিলেন, তাতে তাকে আউট করতে না পারলে নির্ঘাত বিপদ ছিল বাংলাদেশের। অবশেষে সাজঘরে ফিরলেন। তাকে ফেরালেন রিভার্সসুইং তারকা রুবেল হোসেন। ইতিহাসে তা-ই লেখা থাকবে জনমভর। তবে কৃতিত্বটা কিন্তু মাশরাফিরই। হাফ চান্সকে ফুল চান্সে রূপান্তরিত করেন তিনি। ধরেন অবিশ্বাস্য ক্যাচ। যেভাবে ক্যাচটি লুফে নেন তা ছিল সত্যিই দর্শনীয়। সুপারম্যানের মতো শরীর শূন্যে ভাসিয়ে বাঁহাতে ক্যাচটি তালুবন্দি করেন। তা ধরে এমন এক ভঙ্গি করেন যেন নড়াইল এক্সপ্রেস এক ভাস্কর্য। স্বাধীনতা, দেশপ্রেম, অপ্রতিরোধ্য, দৃঢ় মনোবলের প্রতিচ্ছবি। সেটাই এখন ভাইরাল হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে ৩৭ রানে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। আজ শিরোপার লড়াইয়ে ভারতের মোকাবেলা করবে টাইগাররা। এর আগে মাশরাফির সেই ছবি টুইটারে পোস্ট করেছে ইএসপিএন ক্রিকইনফো। জানতে চেয়েছে তার ক্যাচটি কেমন? অসংখ্য সাড়া পাচ্ছে সেটি। প্রতিমুহূর্তে সেখানে রিটুইট করছেন ভক্ত-সমর্থকরা। পাকিস্তানের পাঁড় সমর্থক নাসির আব্বাস লেখেন, এটি তো সাধারণ কোনো ক্যাচ ছিল না। এই ক্যাচ ধরে তো মাশরাফি আমাদের কাছ থেকেই ম্যাচটা কেড়ে নিয়েছেন। টিপস অ্যান্ড ট্রিকস নামে টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, এই হাতটি এখন শিরোপা দাবি করে। বড় কোনো টুর্নামেন্টের। অবসরের আগে মাশরাফির এ হাতে অন্তত একটি এশিয়া কাপের শিরোপা উঠুক। মুজাম্মিল মুঘল লেখেন, মাশরাফি এমন একজন নেতা, যিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। সরফরাজ আহমেদ তার মতো কখনো ছিলেন না, এখনো নন, কোনো দিন হতেও পারবেন না। ম্যাশ থাকা মানে টিম স্পিরিট বেড়ে যাওয়া। তিনিই যোগ্য নেতা। এ নিয়ে তিনবার এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১২ সালে ওয়ানডে ফরম্যাটে এবং ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলে টাইগাররা। প্রথমবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ রানের হারে বেদনাদায়ক চিত্রনাট্য রচিত হয়। সবশেষ টি-টোয়েন্টি সংষ্করণে ভারতের কাছে হেরে দ্বিতীয়বার স্বপ্নভঙ্গ হয়। প্রতিবার দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলে মাশরাফি। এবার কী তার ব্যত্যয় ঘটবে?





আরো খবর