সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলকদ, ১৪৪৫ | ১২:২৫ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


বৃহস্পতিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৮:২৭:২৪ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

৬ 'এম' এর কাছে বিধ্বস্ত পাকিস্তান

এশিয়া কাপের অঘোষিত ফাইনালে গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের ম্যাচে বাংলাদেশের কয়েকজন ক্রিকেটার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। তাদেরকে সংক্ষেপে ৬ 'এম' বলা যেতে পারে। ব্যাটিংয়ের দিকে তাকালে শুরুতেই আসবে মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুনের নাম। ১২ রানে তিন উইকেট হারানোর পর খাদের কিনারায় পড়া একটি দলকে উদ্ধার করেছেন তারাই। তাদের ১৪৪ রানের জুটিই বাংলাদেশ লড়াকু সংগ্রহ এনে দেয়। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে আউট হওয়ার আগে ১১৬ বলে ৯ চারের সাহায্যে ৯৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলা মুশফিকের হাতেই উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার। সেঞ্চুরির কাছাকাছি না যেতে পারলেও মোহাম্মদ মিঠুনের ৬০ রানের ইনিংসটা কম মূল্যবান নয়। আর এটিই যে ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। আর বোলিংয়ে মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদি হাসান মিরাজ। ফাইনালে যাওয়ার জন্য শুরুতেই ব্রেক থ্রু'র দরকার ছিল। ম্যাচের প্রথম ওভারেই বল হাতে পেয়ে পাকিস্তানের বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান ফখর জামানকে ফিরিয়ে অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দেন মিরাজ। আবার শেষ দিকে যখন পাকিস্তান একটু একটু করে জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই মারমুখী হওয়ার আগেই ৩১ রানে থাকা আসিফ আলীকে ফিরিয়ে টাইগার শিবিরে স্বস্তি এনে দেন তিনিই। বাংলাদেশের সবচেয়ে কিপটে বোলারও তিনি। ওভারপ্রতি ২.৮০ গড়ে ১০ ওভারে এক মেডেনসহ ২৮ রানের বিনিময়ে নিয়েছেন দুই উইকেট। তবে, বোলিংয়ে প্রথম নামটা আসবে মুস্তাফিজুর রহমানের। মিরাজের প্রথম উইকেট নেওয়ার পর বাবর আজম ও সরফরাজ আহমেদকে দ্রুত ফেরত পাঠিয়ে ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন দেখানোর শুরুটা করেন মুস্তাফিজই। আবার শেষদিকে দুই উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের লেজটাও কেটে দেন কাটার মাস্টারই। মাঝে লিটন দাস দুটি ক্যাচ না ফেললে ৬টি উইকেট লেখা থাকতো সাতক্ষীরার এই বিস্ময় বালকের নামের পাশে। এর বাইরে অলরাউন্ডার নৈপুণ্যে নাম আসবে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের। মোহাম্মদ মিঠুন ও মুশফিকুর রহিম ফেরার পর বাংলাদেশের রান যে ২৩৯ হয়েছে তাতে বড় অবদান ছিল মাহমুদুল্লাহর। ব্যাটিং ২৫ রানের পাশাপাশি বোলিংয়ে ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩৮ রানের বিনিময়ে তুলে নিয়েছেন এক উইকেট। তবে এই উইকেটের বিশেষত্বটাই একটু আলাদা। নাম ইমাম উল হক। ওপেনিং নামার পর এক প্রান্ত আগলে রেখে ক্রিজে ছিলেন পাকিস্তানের ১৬৭ রান পর্যন্ত। ক্রিজে থাকাকালীন ৬ জন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে যেতে দেখেছেন। যাওয়ার সময় তাদের সঙ্গে ইমামকে মাঝে মধ্যে ক্ষোভও প্রকাশ করে দেখা গেছে। তার ক্রিজে থাকা পর্যন্ত জয় অনেক দূর পথ হলেও আশায় ছিলেন পাকিস্তানিরা। কিন্তু তার আউটের পরই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় পাকিস্তান। তাই তো জয়ের পর বাংলাদেশের এই পাঁচ ক্রিকেটারের প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশকে অতীতে খোঁচা দেওয়া ভারতের সাবেক তারকা ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেবাগ। টুইটারে এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, পাঁচ 'এম' মুশফিক, মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, মুস্তাফিজ এবং মিরাজে বিধ্বস্ত পাকিস্তান। তবে, এই পাঁচ 'এম' বাইরেও একজন এই ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছেন। তিনি মাশরাফি বিন মর্তুজা। ম্যাচে তার অধিনায়কত্ব ছিল নজরকাড়া। যেটা ম্যাচ শেষ ধারাভাষ্যকার রজিম রাজা মুখ থেকেই শোনা গেছে। বার বার আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মাঠের বাইরে চলে গেলেও সতীর্থদের মনোবল দৃঢ় রাখতে আঙ্গুলে ব্যান্ডেজ নিয়েই পরক্ষণে মাঠে ফিরেছেন। নিজের সব ওভার শেষ করতে পারেননি। উইকেট একটাও নেই। তবে গড় রান ঠিক রেখেছেন। দুটি ক্যাচ নিয়েছেন। এর মধ্যে একটি তো ছিল টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা ক্যাচ। তাও আবার পাকিস্তানের সবচেয়ে বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান শোয়েব মালিকের। ওই সময় মাশরাফি ক্যাচটা না ধরতে পারলে ম্যাচের চিত্র ভিন্নও হতে পারতো।





আরো খবর