বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


বৃহস্পতিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:৫২:২০ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

সব হিসাব পাল্টে দেওয়া এক ক্যাচ

৩০০ বলে লক্ষ্য মাত্র ২৪০ রান। এ রান করতে পারলে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলবে পাকিস্তান। পাক্কা এক বোলার কম নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশের জন্য কাজটা শুধু কঠিনই না, প্রায় অসম্ভব! কিন্তু অসম্ভব কাজটা চোখের পলকে করে দেখাল মাশরাফির দল। ৩৭ রানের বিশাল জয়ে বাংলাদেশ পেয়েছে ১৪তম এশিয়া কাপের ফাইনালের টিকিট। জয়ের পার্থক্য বিশাল হলেও চলার পথটা সহজ ছিল না। লক্ষ্য তাড়ায় ১৮ রান তুলতেই ৩ উইকেট নেই পাকিস্তানের। সেখান থেকে শোয়েব মালিক ও ইমাম-উল-হকের ১০০ বলে ৬৭ রানের জুটিতে মাথায় ভাঁজ মাশরাফির। বোলিংয়ে মাশরাফির সঙ্গী মুস্তাফিজ, মিরাজ ও রুবেল। তারা কেউই ভাঙতে পারছিলেন না প্রতিরোধ। পার্ট টাইম দুই বোলার মাহমুদউল্লাহ ও সৌম্যকে এনেও কোনো লাভ হচ্ছিল না। দায়িত্বটা নিজ কাঁধেই নিলেন অধিনায়ক। ২০তম ওভারে হিসাব পাল্টে দিলেন। রুবেলের ওভারপিচ বল মিড উইকেটে খেলতে চেয়েছিলেন মালিক। ব্যাটে-বলে করেছিলেন ঠিকমতো। কিন্তু ওখানে ছিলেন ‘সুপারম্যান’ মাশরাফি। নিজের বিপরীত দিকে ঝাঁপিয়ে একহাতে বল তালুবন্দি করে পুরো বাংলাদেশকে উল্লাসে ভাসান মাশরাফি। তাতেই যেন সব পাওয়া হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। অসাধারণ, অনন্য, অসামান্য ক্যাচ মাশরাফির। তার ওই ক্যাচে আবুধাবির আকাশে আবার ফুটে ওঠে আলোর ফুল! ছড়িয়ে যায় বাংলাদেশের জয়ের সুবাস! জয়ের ক্ষেত্রে দলের প্রত্যেকেই রেখেছেন অবদান। তাই জয়ের পুরো কৃতিত্বটাই দলের। কিন্তু ম্যাচের মোড় ঘুরেছে মাশরাফির ওই দুর্দান্ত ক্যাচে। চোখ ধাঁধানো ক্যাচ ধরায় বোঝার উপায় নেই যে তার দুই পায়ে সাত-সাতটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। বোঝার উপায়ও নেই যে বয়স ৩৫ ছোঁয়ার অপেক্ষায়। শুধু কি ওই ক্যাচ! পুরো ম্যাচে ফিল্ডিংয়ে যে দুরন্তপনা মাশরাফি দেখিয়েছেন, তা ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখে লেগে থাকবে দীর্ঘদিন। তাই তো ধারাভাষ্য কক্ষে থাকা রাসেল আর্নল্ড বলেছিলেন, ‘যখনই আমি শুনি মাশরাফির কাছে বল তখনই টিভির পর্দায় চোখ দিই। দেখি ও আবার উঠে দাঁড়িয়েছে কি না!’ অতিমানবীয় ক্যাচ ধরে পাকিস্তান বধের যে গল্প মাশরাফি লিখেছেন, তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে অনন্তকাল।





আরো খবর