মুশফিকুর রহিম এবং মোহাম্মদ মিঠুনের বাড়তি দায়িত্বশীলতায় ২৩৯ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয়ে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশ দলকে খেলায় ফেরান মুশফিক-মিঠুন। তাদের কল্যাণে আড়াইশ’র কাছাকাছি রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৯ রান করেন মুশফিক। ৬০ রান করেন মিঠুন।
জুনায়েদ খানের চতুর্থ শিকার মাহমুদউল্লাহ
এশিয়া কাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ফিরেই দলের ত্রাতা জুনায়েদ খান। তার গতিতেই বিধ্বস্ত বাংলাদেশ দল। সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মিরাজ এবং মাহমুদউল্লাহর উইকেট তুলে নেন পাকিস্তানের এই পেসার। জুনায়েদ খানের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন রিয়াদ। তার আগে ৩১ বলে ২৫ রান করেন মাহমুদউল্লাহ।
১ রানের আক্ষেপ মুশফিকের
এশিয়া কাপে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে নিজের ক্যারিয়ার সেরা ১৪৪ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিক।
বুধবার পাকিস্তানেরবিপক্ষেআবুধাবিতেগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও অসাধারণ খেলেন মুশকিক। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার, ভালো খেলেও১ রানের জন্য সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন এউইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সপ্তমসেঞ্চুরির কাছেগিয়েও ব্যর্থ হন মুশফিকুর রহিম।শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে ১১৬ বলে৯টি চারের সাহায্যে ৯৯ রান সংগ্রহ করেন মুশফিক। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৯৯ রানে আউট হলেন তিনি।
এর আগে ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বুলাওয়ে ৯৮ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। সেবার মাত্র ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি দেখা পাননি। এরপর ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুরে৯০ রানে আউট হয়েছিলেন মুশফিক।
ওয়ানেডতে ১৯১ম্যাচে ৬টি সেঞ্চুরি এবং ৩০টি ফিফটিতে ৫ হাজার ১২৫রান করেছেন দেশের অন্যতম সেরা এ ব্যাটসম্যান।
ওয়ানডে ক্রিকেটে দেশের হয়ে রান সংগ্রহের দিক থেকে মুশফিক তৃতীয়।
১৮৩ ম্যাচে ১১টি সেঞ্চুরি এবং ৪২টি ফিফটির সাহায্যে ৬ হাজার ৩০৭ রান নিয়ে সবার ওপরে আছেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল।
আর ১৯২ ম্যাচে ৭টি সেঞ্চুরি এবং ৩৯টি ফিফটিতে ৫ হাজার ৪৮২ রান নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আঙুলে চিড় ধরায় খেলতে পারেননি। অন্যদিকে হাতে চোট পেয়ে দেশে ফিরে এসেছেন তামিম ইকবাল।
পাকিস্তানের বিপক্ষে অঘোষিত সেমিফাইনাল ম্যাচে মাত্র ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যায় বাংলাদেশ দল। সেই অবস্থা থেকে দলকে উদ্ধার করেন মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুন।চতুর্থ উইকেটে মুশফিক-মিঠুনরা ১৪৪রানের জুটি গড়েন।
এর আগে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে হাল ধরেছিলেন তারা। সেদিন ষষ্ঠ উইকেটে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১২৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তারা।