শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ, ১৪৪৫ | ০৬:২২ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


শনিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:৩০:০১ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

পারল না বাংলাদেশ

ভারতের বিপক্ষে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারল না বাংলাদেশ। ব্যাটিং-বোলিং দুটিতেই ছিল ভারতের আধিপত্য। ম্যাচটিতে বাংলাদেশ হেরেছে ৭ উইকেটে। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর আবুধাবিতে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। একই দিন দুবাইতে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে ভারত। এশিয়া কাপে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে সহজে জয় পেল ভারত। টাইগারদের দেওয়া টার্গেটে খেলতে নেমে তিন উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রোহিত শর্মার দল। এর আগে দুবাইয়ে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ ১৭৪ রানের টার্গেট দিয়েছিল। রোহিত শর্মার অসাধারণ ইনিংসে লক্ষ্যে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়নি ভারতের। ওপেনিংয়ে নেমে ৮৩ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ভারত অধিনায়ক। সঙ্গে দীনেশ কার্তিক এক রানে অপরাজিত ছিলেন। এ ছাড়া ধাওয়ান ৪০ রানের মাথায় সাকিবের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরে যান। তিন নম্বরে নামা আম্বাতি রাইডুর ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান। ধোনির ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নেন সাকিব-রুবেল-মাশরাফি। এর আগে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ভারতীয় অধিনায়কের সিদ্ধান্ত যে সঠিক তা ঝটপট দুই ওপেনারকে তুলে নিয়ে প্রমাণ করেছেন ভুবেনশ্বর-বুমরাহ। টাইগারদের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা চূড়ান্ত ব্যর্থ। একেকজন উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসছিলেন ভারতীয় বোলারদের। তবে ৮ম উইকেটে মেহেদি-মাশরাফির অসাধারণ জুটিতে আরো কম রানে গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জা থেকে বাঁচল বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে মেহেদির ব্যাট থেকে। মাশরাফির সঙ্গে ৬৬ রানের জুটি গড়ে মেহেদি দলকে টেনে তুলেন খাদের কিনারা থেকে। তার ব্যাট থেকে আসে ৪২ রান। ভুবেনশ্বর কুমারকে পরপর দুই বলে দুই ৬ মেরে তৃতীয় বলে সুইপ করতে গিয়ে বুমরাহর হাতে ধরা পড়েন মাশরাফি। তার ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান। দুজনের নৈপুণ্যে ১৭৪ রানের টার্গেট দিতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। মাহমুদুল্লাহ-মোসাদ্দেকের জুটি লড়াই করার মতো সংগ্রহের আভাস দিয়েছিল। পরপর দুই ওভারে দুইজন ফিরে গেলে ভেস্তে যায় স্বপ্ন। দুজনের জুটি থেকে আসে ৩৬ রান। মাহমুদুল্লাহ ২৫ ও মোসাদ্দেক ১২ রান করে আউট হন। এ ছাড়া দলের অন্যতম দুই ভরসা মুশফিক ও সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ২১ ও ১৭ রান। ইনিংসের শুরুতেই ফিরে গিয়েছিলেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত। লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন দুজনই সাত করে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। আফগানদের বিপক্ষেও গতকাল দুজনই ফিরে যান দলীয় ১৬ রানের মাথায়। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন রবীন্দ্র জাদেজা। তিন উইকেট করে নেন ভুবেনশ্বর কুমার ও যসপ্রীত বুমরাহ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা মুশফিকুর রহিম ও পেসার মুস্তাফিজকে। সুপার ফোরের ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের কথা বিবেচনা করে তাদেরকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। ভারতের বিপক্ষে দু'জনই ফিরেছেন দলে। সংক্ষিপ্ত স্কোর ফল: সাত উইকেটে জয়ী ভারত। বাংলাদেশ ইনিংস: ১৭৩ (৪৯.১ ওভার) (লিটন দাস ৭, নাজমুল হোসেন শান্ত ৭, সাকিব আল হাসান ১৭, মুশফিকুর রহিম ২১, মোহাম্মদ মিথুন ৯, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২৫, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ১২, মাশরাফি বিন মুর্তজা ২৬, মেহেদী হাসান মিরাজ ৪২, মোস্তাফিজুর রহমান ৩, রুবেল হোসেন ১*; ভুবনেশ্বর কুমার ৩/৩২, জ্যাসপ্রীত বুমরাহ ৩/৩৭, যুজবেন্দ্র চাহাল ০/৪০, রবীন্দ্র জাদেজা ৪/২৯, কুলদীপ যাদব ০/৩৪)। ভারত ইনিংস: ১৭৪/৩ (৩৬.২ ওভার) (রোহিত শর্মা ৮৩*, শিখর ধাওয়ান ৪০, আম্বাতি রায়ডু ১৩, মহেন্দ্র সিং ধোনি ৩৩, দিনেশ কার্তিক ১*; মাশরাফি বিন মুর্তজা ১/৩০, মেহেদী হাসান মিরাজ ০/৩৮, মোস্তাফিজুর রহমান ০/৪০, সাকিব আল হাসান ১/৪৪, রুবেল হোসেন ১/২১)। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রবীন্দ্র জাদেজা (ভারত)।





আরো খবর