ম্যাচসেরা মাশরাফি মুর্তজার ঝড়ে চট্টগ্রামকে ৩ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে রংপুর রাইডার্স।
৭ উইকেটে ১৭৬ রান করে চিটাগং। জবাবে রংপুর করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮০ রান। ৮ ম্যাচে চতুর্থ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে উঠলো মাশরাফির দল। চিটাগং সমান খেলে ৫ পয়েন্ট নিয়ে সবার শেষে।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শনিবার ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও ক্রিস গেইলদের চার-ছক্কা দেখতে এসে দ্বিতীয়বার হতাশ হলেন চট্টগ্রামবাসী। তবে তাদের মাতিয়ে দিয়েছেন মাশরাফি। ম্যাককালাম আউট হওয়ার পর সবাইকে অবাক করে দুই নম্বরে নামেন রংপুরের অধিনায়ক। এরপর আরও অবাক করে দেন ঝড়ো এক ইনিংস খেলে।
গেইলের সঙ্গে ক্রিজে দুর্দান্ত জুটি গড়েন মাশরাফি
ক্রিজের অপরপ্রান্তে থাকা গেইলও পেরে ওঠেনি মাশরাফির সঙ্গে। চারটি চার ও তিনটি ছয়ে মাত্র ১৭ বলে ৪২ রান করেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’। গেইলের সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়ে সানজামুল ইসলামের কাছে বোল্ড হন তিনি। পরের ওভারে তানভির হায়দারের শিকার হন গেইল। ২৫ বলে ৩৩ রান করেন ক্যারিবিয়ান তারকা। দারুণ এই ব্রেকথ্রুতে ফিঁকে হওয়ার জয়ের স্বপ্ন আবার দেখতে শুরু করেছিল চিটাগং।
রবি বোপারা ও মোহাম্মদ মিথুনকে ফিরিয়ে দিয়ে শেষ ওভারে স্বাগতিকরা রংপুরকে দেয় ১৪ রানের লক্ষ্য। প্রথম বলে দুটি রান নিয়ে পরেরটি ছয় মেরে পথটা পরিষ্কার করেছিলেন পেরেরা। কিন্তু তাসকিন আহমেদ পরপর দুই বলে নাহিদুল ইসলাম ও শাহরিয়ার নাফীসকে ফিরিয়ে রংপুরকে কঠিন চ্যালেঞ্জে ফেলে দেন। পঞ্চম বলে পেরেরা দুটি রান নিলে স্বস্তি পাচ্ছিল চিটাগং, কারণ শেষ বলে তখনও রংপুরের দরকার ৪টি রান। বাংলাদেশি পেসার বল করলেন লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে, পেরেরা মারতে গিয়েও পারলেন না। ওয়াইড বলে রংপুরের খাতায় যোগ হয় আরও একটি রান। সব দুশ্চিন্তা-চাপ কাটিয়ে তাসকিনকে পরের বলটি মিডউইকেট দিয়ে ছয় মারেন পেরেরা। বিপিএলের এই আসরে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে সফল হয় রংপুর। ১৪ বলে তিন ছয়ে ২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন শ্রীলঙ্কার এ ব্যাটসম্যান।
আল-আমিন, তাসকিন, সৌম্য সরকার, তানভির, সানজামুল ও রিচি একটি করে উইকেট নেন চিটাগংয়ের পক্ষে।
ম্যাচসেরা মাশরাফি
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং নেয় রংপুর। ৫৬ রানের মধ্যে তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দিয়ে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দেয় পয়েন্ট টেবিলের পাঁচ নম্বর দলটি। তবে ৭৬ রানের জুটি গড়ে চিটাগংকে দাঁড় করান স্তিয়ান ভ্যান জিল ও সিকান্দার রাজা। জিম্বাবুয়ান ব্যাটসম্যান ২২ রানে আউট হলে ভাঙে এ শক্ত জুটি।
৪০ বলে তিন চার ও চার ছয়ে ৬৮ রান করে দলে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন ভ্যান জিল। ২৬ বলে দ্বিতীয় সেরা ৩০ রান করেন সৌম্য সরকার। শেষদিকে ১৬ বলে ২৫ রান করে দলের স্কোর আরও শক্ত করেন নাজিবউল্লাহ জাদরান।
রংপুরের পক্ষে লাসিথ মালিঙ্গা, থিসারা পেরেরা, রুবেল হোসেন, মাশরাফি মুর্তজা ও নাহিদুল ইসলাম একটি করে উইকেট নেন