বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আওয়াল, ১৪৪৬ | ০১:৩১ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৮ ০৬:৪৫:৩১ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের দাবি রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের

প্রস্তাবিত জিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)। এতে বলা হয়েছে, ওই আইনটি স্বাধীন মত ও তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে বড় ধরনের হুমকি। এসব ক্ষেত্রে যেসব বিধান রয়েছে তা ওই আইন থেকে সরিয়ে ফেলতে আহ্বান জানানো হয়েছে। নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে আরএসএফ। এতে বলা হয়, বহুল সমালোচিত ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন (আইসিটি)-এর স্থানে আসছে নতুন এই আইনটি। এতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার আইসিটি আইনের সবচেয়ে বড় বড় ত্রুটির প্রতিকার করার সুযোগ হাতছাড়া করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ৫৭ ধারা। এর অধীনে অনলাইনের রিপোর্ট বা লেখালেখিকে মানহানিকর অথবা ধর্মীয় অবমাননার আওতায় আনা হয়েছে। বিবৃতিতে আরএসএফ আরো লিখেছে, শুধু ২০১৭ সালেই ৫৭ ধারার অধীনে কমপক্ষে ২৫ জন সাংবাদিক ও কয়েক শত ব্লগার ও ফেসবুক ব্যবহারকারীকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। তাই এটাকে ঢেলে সাজানোর প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এই ধারার অনেকটাই প্রস্তাবিত নতুন আইনের বিভিন্ন ধারায় নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে। তার অধীনে ১৪ বছর পর্যন্ত জেলের বিধান রয়েছে। আরএসএফের এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান ডানিয়েল বাস্টারড বলেছেন, প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সন্তোাষজনক নয়। বিশেষ করে তা বেশ কিছু পয়েন্টের কারণে। এমনকি এই আইনটি আগের আইনের চেয়ে অনেক বেশি কঠোর। তাই সাংবাদিকদের বা ব্লগারদের কণ্ঠরোধের জন্য যেসব ধারা বা বিধান ব্যবহার হতে পারে তার সবটাই প্রত্যাহার করতে হবে। এতে যে অস্পষ্টতা রয়েছে তার অধীনে আগের মতো একইভাবে এর অপব্যবহার অনুমোদন করা হবে। এতে তারাই সুবিধা পাবে, যারা চায় না সংবাদ ও তথ্যের অবাধ ও নিরপেক্ষতা। প্রয়োজনীয় সংশোধনীগুলোর একটি হতে পারে এমন একটি আর্টিকেল যোগ করা, যার অধীনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো মানহানী বা ধর্ম অবমাননার প্রক্রিয়া শুরু করার আগে অভিযোগ পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করবেন। এতে আরো বলা হয়, গত জুলাইয়ে যদিও আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের সম্পাদক পরিষদ, তথাপিও এর অনেকটাই প্রস্তাবিত নতুন আইনের ১৯ নম্বর ধারায় যুক্ত করা হয়েছে। এর অধীনে কোনো রিপোর্ট বা লেখা যদি মানুষের মনকে বিষিয়ে তোলে, কারো অবমাননা করা হয় ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া হয়, তাহলে এর জন্য এ আইনে দু’বছরের জেলের বিধান রয়েছে। কোনো লেখা যদি জনশৃংখলা বিনষ্টের জন্য দায়ী বলে বিবেচিত হয়, তাহলে আর্টিকেল ২০ এর অধীনে শাস্তি হিসেবে সাত বছরের জেল হতে পারে। অন্যদিকে স্বাধীনতা যুদ্ধ অথবা জাতির পিতার বিরুদ্ধে কোনো নেতিবাচক প্রচারণা ছড়িয়ে দেয়ার শাস্তি হতে পারে ১৪ বছরের জেল অথবা ৫০ লাখ টাকা জরিমানা, অথবা উভয় দন্ড। এসব দন্ডের কথা বলা হয়েছে নতুন বিধানে। নতুন আইনের ৩২ ধারার অধীনে গুপ্তচরবৃত্তি যেভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে তার মধ্যে থাকবে সরকার, আধা সরকারি অথবা শায়ত্তশাসিত কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো তথ্য গোপনে রেকর্ড করা। এবং এ অপরাধের জন্য ১৪ বছরের জেল অথবা ২০ লাখ টাকা জরিমানা, বা উভয় দন্ডের কথা বলা হয়েছে।





আরো খবর