শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আওয়াল, ১৪৪৬ | ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


বুধবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:০৪:২৬ অপরাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

ভাস্কর্য ইসলামে হারাম নয় : মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

ভাস্কর্য ইস্যুতে হাক্কানি আলেমদের ঈমানি দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তাঁদের নীরব না থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা নীরব থাকবেন না। হাক্কানি আলেমরা নায়েবে রাসুল হিসেবে এগিয়ে আসুন, সঠিক কথা বলুন। ভাস্কর্য ইসলামে হারাম নয়, সেটা জাতিকে বলুন। যাঁরা আলেমসমাজ, তাঁরা যদি কথা না বলেন, মানুষ ধরে নেবে ইসলাম জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেয়। সুতরাং হাক্কানি আলেমদের এগিয়ে আসতে হবে।’

 

আজ বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে নাট্যজন আলী জাকের ও ফুটবলার বাদল রায় স্মরণে আয়োজিত শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ওই শোকসভার আয়োজন করে।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘পৃথিবীর সব মুসলিম দেশে ভাস্কর্য রয়েছে। এমনকি তিনটি ইসলামিক রাষ্ট্র- ইরান, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে প্রচুর ভাস্কর্য রয়েছে। সরকারকে অনুরোধ করব, পৃথিবীর সব মুসলিম অধ্যুষিত দেশের ভাস্কর্য টেলিভিশনের মাধ্যমে জনগণকে দেখানো হোক। দূতাবাসের মাধ্যমে সব ভাস্কর্য সংগ্রহ করে প্রচার করা হোক। তাহলে মানুষ আসল ঘটনা বুঝবে।’

হুঁশিয়ার করে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে হবে। কয়েকজন ব্যক্তির কাছে ধর্ম লিজ দেওয়া হয় নাই। হাক্কানি আলেমরা, আপনারা কথা বলুন। না হলে ধর্ম ব্যবসায়ীরা আরো সুযোগ পাবে। কত জায়গায় ভাস্কর্য আছে, এত দিন কেউ কিছু বলেনি। হঠাৎ তারা এটা নিয়ে কথা বলছে। তাদের ধৃষ্টতা কতটুকু হয়েছে। তাও করিমুদ্দিন সলিমুদ্দীনকে নিয়ে নয়, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। তাদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলার সময় এখনই।’

‘তাদের এজেন্ডা কী? এজেন্ডা একটাই। যখন তারা দেখল, শেখ হাসিনা সফলভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন, তখন তারা এ ইস্যু সামনে নিয়ে এলো। আজ জাতির অস্তিত্ব, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হুমকির মুখে। সংবিধানে আঘাত এসেছে। আসুন, আমরা এক হয়ে লড়াই করি। বঙ্গবন্ধুর সন্তানরা এক হয়ে তথাকথিত ধর্ম ব্যবসায়ী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়ি। তারা বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে যে কথা বলেছে, অমার্জনীয় অপরাধ করেছে। যদি বক্তব্য প্রত্যাহার না করে, তাহলে কী করতে হবে, জানা আছে। সতর্ক হয়ে যান।’

এ সময় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন লায়ন গনি মিয়া বাবুল, এম এ করিম, মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল বাহার টিপু, অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।






আরো খবর