শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ৩ জিলকদ, ১৪৪৫ | ১০:০১ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


রোববার, ২১ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:০০:০৪ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

ওয়ানাড়ে রাহুলের সহজ লড়াইয়ে বামদের টেক্কা

লোকসভার দ্বিতীয় পর্বের ভোট হয়ে গেছে। এখন নজর ২৩ এপ্রিল তৃতীয় পর্বের দিকে। এ পর্বে ফের কেন্দ্রমুখী হবে ১৪ রাজ্যের ভোটার। ভোট হবে সর্বোচ্চসংখ্যক আসন তথা ১১৬টিতে। সবার চোখ এখন দক্ষিণের রাজ্য কেরালার উত্তর-পূর্বের জেলা ওয়ানাড়ে। কারণ উত্তরপ্রদেশের আমেথির পাশাপাশি দ্বিতীয় আসন হিসেবে এই ওয়ানাড় থেকেও লড়ছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এবং কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে তার এ লড়াই অনেকটা সহজই বলতে হয়। কেননা ২০০৯ সালের পর প্রতিটি নির্বাচনে আসনটিতে জয় পেয়েছে কংগ্রেস। যদিও দলটির প্রয়াত এমপি এমআই সানাভাসের জয়ের ব্যবধান গতবার কমে যায় অনেকটাই (২০,০০০-এর একটু বেশি; ২০০৯ সালে যা ছিল দেড় লাখেরও বেশি)। এবারও ধরে নেয়া হচ্ছে, ওয়ানাড় দক্ষিণ ভারতে কংগ্রেসের অন্যতম সুরক্ষিত আসনগুলোর একটি। কিন্তু রাহুলকে এত সহজে জিততে দিতে রাজি নয় বামপন্থী কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (সিপিআই-এম)। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রীতিমতো টেক্কা দিচ্ছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলটি। হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। নির্বাচনের ডামাডোলের মধ্যে চলতি মাসের শুরুর দিকেই ওয়ানাড় থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেন রাহুল। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বোন কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াংকা গান্ধী। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পরই বিশাল সমর্থক বাহিনী নিয়ে বড় রোডশো করে কংগ্রেস। কিন্তু ওয়ানাড়কে কেন বেছে নিলেন রাহুল? দলের পক্ষ থেকে সাফাই দেয়া হয়, এই আসনে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ভোটে লড়লে তা কেরালা এবং দক্ষিণের অন্য রাজ্যগুলোতে কংগ্রেসের কর্মীদের মনোবল বাড়াবে। ভৌগোলিকভাবেও ওয়ানাড়ের কর্নাটক এবং তামিলনাড়ু রাজ্যের সঙ্গে সীমানা থাকায় এ দুটি রাজ্যেও দলীয় মনোবল চাঙ্গা হবে বলেও মনে করেন দলটির নেতা। কিন্তু কংগ্রেস ও রাহুলের এমন সিদ্ধান্তে চটে যায় বামপন্থীরা। শুরু থেকেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগতে থাকেন দলটির নেতারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, কৌশলটি আরও ভালো হতে পারত যদি রাহুল কেরালায় না গিয়ে দ্বিতীয় আসন হিসেবে বিজেপির কোনো আসন বেছে নিতেন। কেরালাতে বা দক্ষিণ ভারতজুড়ে বিজেপির অস্তিত্ব সীমিত এবং এখানে কংগ্রেসের প্রধান লড়াই বাম এবং অন্য আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে যাদের অনেককেই আবার কংগ্রেসের প্রয়োজন পড়তে পারে নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতিতে। তাই দক্ষিণ ভারতে কংগ্রেস কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর কাজ তিনি অন্যভাবেও করতে পারতেন। আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে জোটের খুঁটি পোক্ত করে তিনি তাদের প্রার্থীদের হয়ে প্রচার চালাতে পারতেন। কিন্তু কেরালায় প্রার্থী হয়ে রাহুল আদতে বামেদের বিরুদ্ধে একটি নতুন যুদ্ধের অভিমুখ খুললেন। কেরালার ওয়ানাড়ে রাহুল যখন সহজ জয় চাচ্ছেন, সেটাকে চ্যালেঞ্জে হিসেবেই নিয়েছে বামপন্থীরা। আর তাই এখানে রাহুলের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন সিপিআই’র শক্তিশালী নেতা পিপি সুনীরকে। প্রতিপক্ষের পরাজয় নিশ্চিত করতে কোনো চেষ্টার কোনো ত্রুটি করছেন না লেফট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এলডিএফ)। কংগ্রেসের রোডশোর কয়েক দিন পরই ওয়েনাড়ের কেন্দ্র বলে পরিচিত কালপেটায় আরও বড় রোডশোর আয়োজন করেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।





আরো খবর