মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০১৯ ০৮:৪২:৫১ পূর্বাহ্ন

গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ

সরকারি ছুটি থাকায় প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা করতে ঢাকা ছাড়ছেন পার্শ্ববর্তী জেলার অনেক বাসিন্দা। মঙ্গলবার রাজধানীর সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই রাজধানী থেকে বিভিন্ন পেশার মানুষ নিজ নিজ এলাকায় যাচ্ছেন। যাত্রীদের অভিযোগ, ছুটির দিন থাকায় গণপরিবহনগুলোতে বাড়তি ভাড়া নেয়া হচ্ছে। গুলিস্তান থেকে গ্রেট বিক্রমপুর নামক বাসে মাওয়া যাচ্ছেন মো. মাহমুদ হাসান। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ। তিনি বলেন, ‘সরকারি ছুটি থাকায় গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। অন্যদিন কাজে ব্যস্ত থাকি। তাই ভাবলাম রাস্তা ফাকা, যেতে পথে বিড়ম্বনা কম হবে। কিন্তু গাড়িতে ওঠার আগে বিড়ম্বনা। মাওয়া পর্যন্ত ৭০ টাকার ভাড়া নিচ্ছে ১০০ টাকা। আবার কেউ কেউ ১২০ টাকাও নিচ্ছে।’ গ্রেট বিক্রমপুর বাসের চালকের সহকারী রুহুল বলেন, ‘যাত্রী কম। কিন্তু রাস্তায় বিভিন্ন খরচ। তাই আজ একটু বেশি ভাড়া নিচ্ছি। কাল থেকে আবার স্বাভাবিক ভাড়া নেওয়া হবে।’ ফুলবাড়িয়া থেকে টঙ্গিপাড়া পরিবহনে গোপালগঞ্জ যাচ্ছিলেন মো. রায়হান। তিনি বলেন, ‘ভেবেছিলাম ছুটির দিনে স্বস্তিতে বাড়ি যেতে পারব। কিন্তু না তা আর হলো না। নির্ধারিত ভাড়া ৩০০টাকা। এখন ৫০ টাকা বেশি দিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।’ সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে রয়েল, শ্যামলী, হানিফ, ড্রিমলাইন, পর্যটক, সাকুরা, স্টার লাইন, সুগন্ধাসহ বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টারের সামনে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। রাজধানীর কাজলার বাসিন্দা আবির রহমান বলেন, ‘মায়ের সঙ্গে দেখা করতে দোয়েল পরিবহনের বাসে সোনারগাঁও যাচ্ছি। ৮০ টাকার ভাড়া ১২০ টাকা নিয়েছে। ৪০ টাকা বেশি নিয়েছে।’ সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে কথা হয় রোজ নামের এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আজ রয়েল পরিবহনে কুমিল্লা ভুরঘাটা যচ্ছি। যাওয়ার সময় বাড়তি ভাড়া দিতে হয়েছে। ভাড়া ২৫০ টাকা হলেও ৩০০ টাকা নিয়েছে।’ কথা হয় রয়েল পরিবহনের কাউন্টারের টিকিট মাস্টার আব্দুর রবের সঙ্গে। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘রাস্তায় বিভিন্ন খরচ আছে। তাই সরকারি ছুটির দিনে কিছু বাড়তি টাকা যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়।’