শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ ০২:১৯:৪৫ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় প্রয়োজন ধনীদের সদিচ্ছা

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে বিশ্বকে রক্ষায় সদিচ্ছা দেখাতে ধনী দেশগুলোর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে শনিবার বিকালে (বাংলাদেশে রাত) ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ এজ অ্যা সিকিউরিটি থ্রেট’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় তিনি এ আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আমাদের যথেষ্ট বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, উদ্ভাবনা এবং অর্থায়ন রয়েছে। আমাদের এখন কেবল প্রয়োজন সমাজের সর্বত্র ধনিক শ্রেণীর সদিচ্ছা, আগ্রহ ও প্রচেষ্টা।’ মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নিতে তিন দিনের সরকারি সফরে প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার জার্মানিতে আসেন। শনিবার এ সম্মেলন শেষ হয়। এ দিন রাতেই প্রধানমন্ত্রী সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেন। রোববার সকালে তিনি আবুধাবি পৌঁছান। এখানে এ দিন শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীতে (আইডিইএক্স-২০১৯) যোগ দেন তিনি। তিন দিনের এ সফরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর কয়েকজন নেতার সঙ্গেও তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এদিন সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে চারটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে বাংলাদেশ। আবুধাবির সেন্ট রেগিস হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বন্দর, শিল্পপার্ক, এলএনজি টার্মিনাল, বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে এসব এমওইউ সই হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী আমিরাতের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান। জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক প্যানেল আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক অব্যাহত উষ্ণতা বৃদ্ধিসহ জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের জন্য সত্যিকার এক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশে সাইক্লোন, ঝড় জলোচ্ছ্বাস এবং মৌসুমি বন্যা মানুষের জীবন-জীবিকার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদি এ বিষয়ে কারও কোনো সন্দেহ থাকে, তাদের আমি বাংলাদেশে এসে প্রকৃত অবস্থা দেখে যাওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। ‘পোস্টডাম ইন্সটিটিউট ফর ক্লাইমেট’ পরিচালক হানস জোয়াসিম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। শেখ হাসিনা ছাড়াও ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অব কেনিয়া মনিকা জুমা, নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইনি ইরিকসন সরিডি, ইউএস সিনেটর সেলডন, হোয়াইট হাউস অ্যান্ড কো-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অব গ্রিনপিস ইন্টারন্যাশনাল বুন্নি ম্যাকডিয়ারমিড প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন। ডয়চে ভেলের চিফ পলিটিক্যাল করসপন্ডেন্ট বার্লিন ম্যালিন্ডা ক্রেনি রোর্স অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। ২০১২ সালে ইউএনজিএ সিদ্ধান্তের বিষয় তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় সমষ্টিগত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের প্রমাণ পাওয়া যায় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের আরও অনেক হুমকির কারণে লাখ লাখ মানুষ পৈতৃক ভূমি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে, নদীভাঙন, লবণাক্ত পানি এবং ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের মিশ্রণের কারণে এসব ঘটছে। তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে পানিতে অ্যাসিডিটি বাড়ছে, সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যদিও বৈশ্বিক উষ্ণায়নে বাংলাদেশের ভূমিকা সামান্যই। শেখ হাসিনা বলেন, প্রতি বর্ষা মৌসুমে নদীভাঙনের কারণে অনেক পরিবার রাতারাতি গৃহহীন হয়ে পড়ছে এবং হাজার হাজার একর কৃষিজমি হারিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বৃষ্টিপাতে অনিয়ম এবং অতিবৃষ্টি ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে কৃষকের জন্য চাষাবাদ কঠিন হয়ে পড়েছে এবং শুষ্ক মৌসুমে পানির সংকট দেখা দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নতুন নতুন রোগ-ব্যাধি দেখা দিচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে ম্যালেরিয়া সফলভাবে নির্মূল করা হলেও সেটি আবার ফিরে আসার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, রোগ-ব্যাধি বাড়ছে খাদ্যশস্য, পশুসম্পদ ও পোলট্রি সেক্টরেও। তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশের প্রজনন হুমকির মুখে পড়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ুর এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিশ্বে চাল ও মাছ উৎপাদনে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। সবজি উৎপাদনে পঞ্চম এবং হর্টিকালচারে শীর্ষ দশের মধ্যে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বিশ্বের কাছে জাদুকরি পরিবেশবান্ধব পাটের আঁশ ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছি। আমরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় নিজস্ব উদ্যোগে বৈরী অবস্থায় টিকে থাকার উপযোগী শস্যের জাত উদ্ভাবন করেছি। শেখ হাসিনা জানান, তার সরকার নিজস্ব সম্পদ থেকে জলবায়ু পরিবর্তন তহবিল গঠন করেছে এবং অভিযোজন ও প্রশমন কর্মসূচি বাস্তবায়নে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৪০ কোটি মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে। তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমরা এখন বড় ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছি- আমাদের অর্জিত অগ্রগতি ধরে রাখতে পারব কি না?’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও অন্য অনেক দেশেরই জলবায়ু পরিবর্তনে অভিযোজনের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়েছে।’ শেখ হাসিনা বলেন, এক দশক ধরে আমি কোপেন হেগেন, নিউইয়র্ক, কিউবা ও ইসা-শিমার বৈশ্বিক আলোচনায় বিশ্বনেতাদের কাছে বারবার জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির গুরুত্ব তুলে ধরেছি। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম বৈশ্বিক ব্যবসা ও শিল্পক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনকে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তারা খুঁজে পেয়েছে যে, অভিযোজন ও প্রশমনে ব্যর্থতা, পানি সংকট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবসা ও শিল্পক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ আবহাওয়া অফিস ২০১৪ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এক দশককে ১৫০ বছরের মধ্যে উষ্ণতম দশক বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছে। অতএব অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা ও মানবীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপর্যয়ের মূলে যে পরিবেশ সংকট প্রধান ও একমাত্র কারণ হয়ে দাঁড়াবে, তা প্রশ্নাতীত। এজন্য শেখ হাসিনা জলবায়ুর সঙ্গে খাপখাইয়ে চলার জন্য জীবনযাত্রা, আচরণ, পদ্ধতি ও অর্থনীতিতে পরিবর্তনের আহ্বান জানান। মিউনিখ থেকে আবুধাবি : মিউনিখে নিরাপত্তা সম্মেলন শেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির উদ্দেশে মিউনিখ সময় রাত ৯টা ৪০ মিনিটে (বাংলাদেশে রাত ২টা ৪০ মিনিট) মিউনিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে ইত্তেহাদ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে (বাংলাদেশে সকাল ৮টা ৪০ মিনিট) আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান। পরে প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রাসহ আবুধাবির সেন্ট রেজিস হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। আমিরাতে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা এখানেই অবস্থান করবেন। আইডিইএক্সে প্রধানমন্ত্রী : সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সরকারের আয়োজনে আবুধাবির ন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টারে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী (আইডিইএক্স) ২০১৯। এটি এ প্রদর্শনীর রজতজয়ন্তী আয়োজন। ইউএই ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মেদ বিন রাশিদ আল মাকতুমের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার এ প্রদর্শনীতে যোগ দেন। প্রদর্শনীতে তার পাশেই বসানো হয় শেখ হাসিনাকে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে পৌঁছলে তাকে আবুধাবির যুবরাজ শেখ মোহাম্মেদ বিন সুলতান আল-নাহিয়ান অভ্যর্থনা জানান। আইডিএক্সের পাশাপাশি আবুধাবিতে নেভাল ডিফেন্স অ্যান্ড মেরিটাইম সিকিউরিটি এক্সিবিশনও আয়োজন করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিএনএস ধলেশ্বরী অংশ নিয়েছে। আইডিইএক্স হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য একমাত্র প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী ও সম্মেলন। যেখানে প্রতিরক্ষা খাতের স্থল, নৌ এবং আকাশ পথের নবতর প্রযুক্তি দেখানো হয়। ১৯৯৩ সাল থেকে প্রতি দুই বছর পরপর ইউএই রাষ্ট্রপতি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সশস্ত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়কের পৃষ্ঠপোষকতায় এ প্রদর্শনী হয়ে আসছে। যার উদ্দেশ্য এ অঞ্চলের দেশগুলোতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সশস্ত্রবাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ককে শক্তিশালী করা। এবারের প্রদর্শনীতে ৬০টির বেশি দেশের প্রতিনিধি ও ১৩শ’র বেশি প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। সফরকালে শেখ হাসিনা ইউএই নেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং এখানকার সেন্ট রেগিস হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশি আয়োজিত এক সংবর্ধনায় অংশ নেবেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রায় ৭ লাখ বাংলাদেশি কর্মরত রয়েছেন। ২০ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে। চারটি সমঝোতা স্মারক সই : এমওইউ স্বাক্ষরের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক। সেখানে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও ইউএইতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। শহীদুল হক বলেন, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটি ও দুবাই সরকারের মধ্যে বন্দর ও শিল্পপার্ক স্থাপনে সমঝোতা হয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ ও ডিপি ওয়ার্ল্ডের চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ বিন সুলায়েম এ স্মারকে সই করেন। তিনি বলেন, তারা বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করবে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেন, সরকার আপনাদের সব ধরনের সুবিধা দেবে। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দীর্ঘ মেয়াদে এলএনজি সরবরাহ ও পায়রা বন্দরে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনে চুক্তি হয় আমিরাত ন্যাশনাল ওয়েল কোম্পানির (ইএনওসি) সঙ্গে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও ইএনওসি গ্রুপের সিইও সাইফ হুমাইদ আল ফালানি এতে স্বাক্ষর করেন। ইএনওসি এ জন্য পায়রা বন্দরে ৩০০ একর জমি চেয়েছে। শহীদুল হক বলেন, ১০০০ মেগাওয়াট এলএনজিভিত্তিক ও ১০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে এমওইউ সই হয় শেখ আহমেদ দালমুখ আল মাকতুমের সঙ্গে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ ও আল মাকতুম এতে সই করেন। চতুর্থ সমঝোতা স্মারক সই হয় মাতারবাড়ীতে অর্থনৈতিক জোন তৈরিতে ৩০০ একর জমি দেয়া নিয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ড ও শেখ আহমেদ দালমুখ আল মাকতুমের মধ্যে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান এতে স্বাক্ষর করেন। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এসব এমওইউ স্বাক্ষরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে নতুন দরজা খুলল।





আরো খবর