শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৯:০২:৪৬ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

একনজরে ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বহুল প্রত্যাশিত ইশতেহার ঘোষণা করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ইশতেহারে ১৪ প্রতিশ্রুতি ও ৩৫ অঙ্গীকার ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি কিছু চমকও রাখা হয়েছে। শিক্ষিত ও তরুণ প্রজন্মের ভাবনা এবং তাদের চাহিদার বিষয়গুলো স্থান পেয়েছে ইশতেহারে। ইশতেহারে ৩৫টি অঙ্গীকারের ঘোষণা দেন ড. কামাল হোসেনের পক্ষে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। উল্লেখযোগ্য অঙ্গীকারগুলোর মধ্যে আছে- জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এসব অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে বলে ইশতেহার ঘোষণায় বলা হয়েছে। যেসব অঙ্গীকার দেয়া হয়েছে- পরপর দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। পুলিশ-সামরিক বাহিনী ছাড়া চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা থাকবে না। সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা মন্ত্রণায় গঠন। পিইসি-জেএসসি পরীক্ষা থাকবে না। অনগ্রসর জনগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধি ব্যতীত সব কোটা বাতিল হবে। নির্বাচনকালীন সরকারের বিধান অন্তর্ভূক্ত করা হবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য আনা হবে। জেলা পরিষদ জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হবে ১২ হাজার টাকা। প্রথম বছরে গ্যাস বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে না। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হবে। সরকারের দুর্নীতি তদন্ত করে বিচার করা হবে। হত্যা ও গুম পুরোপুরি বন্ধ করা হবে। ব্যাংকিং সেক্টরে লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা দেয়া। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার মাধ্যমে মুক্তভাবে মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। সংসদ হবে দুই কক্ষের। উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ সৃষ্টি করা হবে। সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে (ফ্লোর ক্রসিং) পরিবর্তন আনা হবে। সাদা পোশাকে কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রিমান্ডের নামে পুলিশি হেফাজতে যে কোনো ধরনের শারীরিক নির্যাতন বন্ধ করা হবে। মিথ্যা মামলায় সহায়তাকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযুক্তদের অভিযোগ প্রমাণ না হলে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়া হবে। বর্তমান সরকারের আমলের দুর্নীতি তদন্ত করে তার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে। স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা। কর্মক্ষেত্রে কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীর ওপর বাচিক কিংবা শারীরিক যৌন হয়রানির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স করা হবে। ইশতেহার পাঠে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত আছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ড. কামাল হোসেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আ স ম আবদুর রব, নজরুল ইসলাম খান, সুব্রত চৌধুরী, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, ড. রেজা কিবরিয়া প্রমুখ।





আরো খবর