দেশে একটি অশুভ ঘটনা ঘটতে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ।
রোববার রাতে দশম সংসদের শেষ অধিবেশনে দেয়া বক্তব্যে নবগঠিত জাতীয় যুক্তফ্রন্টের সমালোচনা করে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে খুনের সঙ্গে জড়িত, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত, যাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে, যারা ফাঁসির আসামি, ফাঁসি হয়েছে, তাদের সঙ্গে ঐক্য করে বর্তমানে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ড. কামাল হোসেন, তা নিয়ে আমাদের কিছু বক্তব্য আছে। এটা একটি অশুভ ঘটনা ঘটতে চলেছে। জাতীয় সংসদের ২৫ অক্টোবরের মধ্যে কোনো একটি তারিখে সময় নিয়ে আমরা তার এ ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করতে চাই। এ সম্পর্কে বলার মতো আমাদের অনেকেই রয়েছেন।
তোফায়েল আহমদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন করতে ৩০ লাখ লোক শহীদ হয়েছেন। প্রিয় মাতৃভূমিকে স্বাধীন করতে অনেক মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করা হয়েছে, এই সেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে এসে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে এই সংবিধান উপহার দেন। সেই সংবিধানে রাষ্ট্রীয় ৪টি মূলনীতি উল্লেখ করা হয়েছে। এ চারটি মূলনীতির অন্যতম হলো- জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এবং ধর্ম নিরপেক্ষতা। এখানে ড. কামাল হোসেনের নাম এসেছে, তিনি নিজেকে সংবিধান প্রণেতা হিসেবে দাবি করেন। অনেকে তাকে সংবিধান প্রণেতা হিসেবে বলেন। আমরা সেই গণপরিষদের সদস্য ছিলাম। সেই সংবিধানে আমাদের স্বাক্ষর আছে। যিনি এই সংবিধান প্রণেতা দাবি করেন, তিনি কি করে সংবিধান পরিপন্থী কার্যকারণে বিশ্বাস করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ড. কামাল একবার নির্বাচনে জেতেন বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেয়া সিটে, তাও ভোটে নয় বিনা ভোটে। ‘৮৬ তে তাকে মনোনয়ন দিলেও তিনি হেরে যান। এটা বড় কথা নয়। হার-জিত আছে। কিন্তু, একটা অশুভ ঘটনা হতে চলেছে, আমরা এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত আলোচনা করব। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী এক নাগাড়ে ১০টি বছর কি উন্নয়ন করেছেন, দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি কেমন উজ্জ্বল করেছেন, তা নিয়েও আলোচনা করব।