রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ, ১৪৪৫ | ১১:০৯ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


বৃহস্পতিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:৩১:৪৬ অপরাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

নদীর পানি ও ভাঙন কিছুটা কমলেও কমেনি চোখের পানি

নদীর পানি ও ভাঙন কিছুটা কমলেও চোখের পানি কমেনি পদ্মা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের। শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় থামছেই না পদ্মা নদীর ভাঙন। তবে এক সপ্তাহ আগের চেয়ে ভাঙনের তীব্রতা কিছুটা কমেছে। ভাঙনের কবলে পড়ে গত তিন মাসে ৫ হাজার ৮১ পরিবার গৃহহীন হয়েছে। তাদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাল, শুকনা খাবার, টিনসহ বিভিন্ন সামগ্রী দেয়া হয়েছে। তবে স্থানীয়রা বলছেন, ৬ হাজারেরও বেশি গৃহহীন হয়েছে। এখনও জমির সন্ধানে ভাঙ্গন কবলিতরা খেয়ে না খেয়ে পদ্মার পারে বসে থাকেন। এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, এখন ভাঙ্গন কম। জিউ ব্যাগ ফালানোর কাজ অব্যাহত রয়েছে। হাসপাতাল রক্ষা করতে পেরেছি। তবে লোকালয় কিছুটা ভাঙ্গন রয়েছে। তা রোধে চেষ্টা করা হচ্ছে। পদ্মা নদীর পাড় খোলা আকাশের নিচে একা বসে চোখের পানি ফেলছিলেন নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের উত্তর কেদারপুর গ্রামের ফজিলত বেগম। তার কাছে গিয়ে কান্নার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, ১৯৬৮ সালে উত্তর কেদারপুর গ্রামের বেপারী বাড়িতে কিশোরী বয়সে বউ হয়ে আসেন তিনি। তার স্বামী তখন সাধুর বাজারের একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। ৭২ শতাংশ জমির মধ্যে বিরাট বড় বাড়ি ছিল তার। ব্যবসায়ের আয়ের টাকা দিয়ে চারটি ঘর তুলেন তার স্বামী। তখন কোথায় নদী ছিল, তা বলতে পারছেন না তিনি। তবে অনেকের কাছে শুনেছেন পদ্মা নদী ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে ছিল। সেই পদ্মা নদী আজ তাকে নিঃস্ব করেছে। উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের উত্তর কেদারপুর গ্রামের নুর ইসলাম বেপারী স্ত্রী ফজিলত বেগম। তিনি আরো বলেন, আমার যদি এতটুকু জায়গা থাকতো, তাইলে সকলকে নিয়ে থাকতে পারতাম। আমার ৩৬ কড়া জমি নদীতে গেছে। সরকার যদি ৫ কড়াও দিত তাহলে থাকতে পারতাম। সরকার যদি একটু যায়গা দিত তাহলে ছেলে-মেয়ে, বউ নায়-নাতকুর নিয়া বাস করতে পারতাম। তিনি বলেন, যেই চাল দেয়, কাপর দেয়, লুঙ্গি দেয়-ওইয়া দিয়ে কি করবো! ওয়া দিয়া আমার পেট ভরব? প্রতিদিন আমার পাঁচ কেজির চাল লাগে।





আরো খবর