শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ, ১৪৪৫ | ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


শুক্রবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:৫২:৪৪ অপরাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

সাজা প্রাপ্ত সাড়ে পাঁচ হাজার আসামিকে মুক্তি দিচ্ছে সরকার

দেশের সব জেলখানা থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার লঘু অপরাধের সাজা পাওয়া আসামি মুক্তি দিচ্ছে সরকার। দ্বিতীয় ধাপে বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী,প্যারালাইস ও ক্যান্সার রোগীদের মুক্তি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন, আইজি প্রিজন। এরইমধ্যে দ্বিতীয় ধাপে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা আসামিদের তালিকাও তৈরী করা হয়েছে। তবে, মানবাধিকারকর্মী নূর খান মনে করেন নির্বাচনের আগে জেল খালি একটি নতুন গণগ্রেফতারের উদ্দেশ্য হতে পারে, যা প্রশ্নবিদ্ধ করবে সরকারকে। সারা দেশের কারাগারে বন্দি ধারণ ক্ষমতা ৩০ থেকে ৩৫ হাজার। কিন্তু বর্তমানে সাজাপ্রাপ্ত বন্দিই আছেন ৮৪ হাজারেরও বেশি। নানা অপরাধের অভিযোগে নিয়মিত আটক কিংবা গ্রেফতারের হিসাব ধরলে এ সংখ্যা লাখ ছাড়াবে। ফলে অনেক সময়ই বন্দিদের জন্য নিশ্চিত করা যায় না ন্যূনতম মানবাধিকারটুকুও। এ অবস্থায় লঘু অপরাধের আসামিদের মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রাথমিক অবস্থায় মুক্তি দেয়া হবে আট বিভাগের ৫ হাজার ৭৭৫ জনকে। যার মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১ হাজার ২৪৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ১ হাজার ৩২৩, খুলনা বিভাগে ৬০৪ আর রংপুর ৩৭৫ জন। প্রথম ধাপে গত ১৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছে, সিলেট বিভাগের ১৪৮জন বন্দি। কারা মহাপরিদর্শক বলছেন, পর্যায়ক্রমে তালিকার সবাইকে মুক্তি দেয়া হবে। কারা মহাপরিদর্শক জানান, পরের ধাপে বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধি, পক্ষঘাতগ্রস্ত ও ক্যান্সার রোগীদের মুক্তি দেয়া হবে। এছাড়া তালিকা করা হয়েছে বিনা বিচারে বন্দিদেরও। তবে নির্বাচনের আগে এমন উদ্যোগকে অনেকেই দেখছেন সন্দেহের চোখে। মানবাধিকারকর্মী নূর খানের মতে, নির্বাচনের আগে গণগ্রেফতারের উদ্দেশ্যে কারাগার খালি করা হচ্ছে, জনমনে উঠতে পারে এমন প্রশ্ন। নূর খান বলেন, এ সুযোগে কোনো দাগি আসামি ছাড়া পেয়ে যায় কিনা, সেটি খেয়াল রাখতে হবে কারা কর্তৃপক্ষকে। সেইসাথে সতর্ক থাকতে হবে, ছাড়া পাওয়ারা পুনরায় যাতে অপরাধে না জড়ায় সে বিষয়েও।





আরো খবর