শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৫:৫৬ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


বৃহস্পতিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১০:০৬:৩০ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যে বড় ছাড় বিএনপির

ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনী ট্রেনযাত্রা শেষ করেছে। এর পর লঞ্চযাত্রা। তবে অজ্ঞাত কারণে পূর্ব নির্ধারিত লঞ্চযাত্রা স্থগিত আছে। অবশ্য বছরের শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের কথা বলছেন ক্ষমতাসীনরা। আর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভোট গ্রহণের কথাও বলছেন সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশন। তবে ক্ষমতার বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচন নিয়ে এ মুহূর্তে কোনো মাথাব্যথা নেই। বরং তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন বড় ধরনের আন্দোলনের। তাদের দাবি, নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করে তাদের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে পুনঃগঠন করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনে বিতর্কিত ইভিএম ব্যবহারের উদ্যোগ বাতিল করতে হবে। নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। যাতে সব দল নির্বাচনে সমান সুযোগ পায়। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচনকালীন সরকার এবং কমিশন পুনর্গঠনের দাবি তাদের। সেই সাথে গণহারে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার বন্ধ ও রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিও জানিয়েছেন সরকারি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। সেই সাথে বিএনপির দাবি, নির্বাচনের আগে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। তারেক রহমানসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহার করতে হবে। গ্রেফতারকৃত সব রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। বিশেষ করে দলের চেয়ারপারসনের মুক্তি ছাড়া কোনো নির্বাচনে হতে দেয়া হবে না বলেও বারবার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। সূত্র বলছে, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ইস্যু ছাড়া বাকি দাবিগুলো ক্ষমতার সুবিধাভোগী নয় এমন সব রাজনৈতিক দলের। এমন প্রেক্ষাপটে বিরোধী দলগুলোর অভিন্ন দাবিতে একসঙ্গে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি চলছে। সেই লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে জাতীয় ঐক্যমঞ্চ গঠনের প্রক্রিয়া এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর শনিবার তা আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের সম্ভাবনা দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এরই মধ্যে ড. কামালের আমন্ত্রণে ২২ সেপ্টেম্বরের সমাবেশে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। যা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের সফল্য নিয়েও সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক দলগুলো এখন বেশ আশাবাদি। সূত্র বলছে, দীর্ঘদিন ধরে গণফোরাম সভাপতি ও বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ সহচর প্রবীণ রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা চলছিল। শুরু থেকে নানা কারণে বিভিন্ন মহলে এ নিয়ে সন্দেহ-সংশয় থাকলেও এখন তা নেই। এরই মধ্যে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ও যুক্তফ্রন্টের পক্ষ থেকে যৌথভাবে ৯ লক্ষ্য অর্জনে ৫ দফা দাবি ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সাথে বিএনপিসহ আরও কিছু রাজনৈতিক দল যুক্ত হয়ে বৃহত্তর রাজনৈতিক জাতীয় ঐক্যমঞ্চ তৈরিতে সমঝোতা হয়েছে বলে তথ্য মিলেছে। অভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নামার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়ার জন্যই ২২ সেপ্টেম্বর সমাবেশ ডেকেছেন ড. কামাল। ফলে দেশব্যাপী এখন আলোচনার প্রধান ইস্যু ড. কামালের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্য। যা সরকারি দলের মধ্যে কিছুটা অস্বস্থি তৈরি করেছে। এমনকি বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য নিয়ে সরকারের মধ্যে এক ধরনের ভীতি ও আতঙ্ক বিরাজ করছে বলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এর আগে যুক্তফ্রন্ট ও গণফোরাম জাতীয় ঐক্য ইস্যুতে একমত হওয়ার পর থেকেই বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে। এরই মধ্যে পর্দার আড়ালে বিএনপির সঙ্গেও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে এক ধরনের সমঝোতা হয়েছে ড. কামাল হোসেনের। বাম ঘরানার আরও বেশ কিছু দল জাতীয় ঐক্যে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি আলোচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে রাজনৈতিক বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। রাজনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, এ ক্ষেত্রে ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের সব দাবি মেনে নিতে সম্মত হয়েছে বিএনপি। জাতীয় ঐক্যমঞ্চের ব্যানারে কমন দাবিগুলো নিয়ে রাজপথে আন্দোলনে নামতে কারো দ্বিমত নেই। তবে এ মুহূর্তে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ ইস্যুতে আলোচনা চলছে। এ ক্ষেত্রে বিএনপির কাছে ছোট দলগুলো দেড়শ আসন ছেড়ে দেয়ার দাবি তুলেছে। ডা. কামালের নেতৃত্বে নতুন সরকার ক্ষমতায় এলে দু’বছর সরকার চালানোর দায়িত্বও তাদের হাতে ছেড়ে দেয়ার শর্ত দেয়া হয়েছে বিএনপির কাছে। যেমনটি হয়েছে গত মে মাসে মালয়েশিয়ার জাতীয় নির্বাচনে মাহাথির মোহাম্মদ ও আনোয়ার ইব্রাহীমের মধ্যে। সূত্র বলছে, এমন কঠিন শর্তগুলো নিয়েও ড. কামালের সঙ্গে বিএনপির এক ধরনের সমঝোতা হয়ে গেছে। কারাবন্দী দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলীয় নির্ধারিত ফোরামসহ ২০ দলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা সেরেই ড. কামালের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন বিএনপি মহাসচিব। সবার মতামতের ভিত্তিতে ড. কামালের নেতৃত্বে বড় ধরনের ছাড় দিয়ে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপির পক্ষ থেকে ড. কামালকে জানিয়েও দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ড. কামাল হোসেনের আহূত ২২ সেপ্টেম্বরের সমাবেশ থেকেই জাতীয় ঐক্যের চূড়ান্ত ঘোষণা আসার জোর তৎপরতা চলছে। সেই লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে পক্ষগুলো। তবে ২২ সেপ্টেম্বরের সমাবেশ করতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি মেলেনি। ডিএমপি থেকে ড. কামালকে একই দিনে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। ড. কামালও প্রশাসেনর এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে মহানগর নাট্যমঞ্চেই সমাবেশ করার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছেন। সমাবেশে আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ যুক্তফ্রন্টের বেশির ভাগ নেতারা উপস্থিত থাকবেন। এর আগে ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা বলেছিলেন, সমাবেশে অনুমতি নেয়ার কথা সংবিধানে বলা নেই। বরং সংবিধানে বলা আছে, সব নাগরিকের অধিকার আছে সভা-সমাবেশ করার। সরকারের দায়িত্ব তাদের সেই অধিকার নিশ্চিত করা। এতে বাধা দেয়া সংবিধান পরিপন্থী। আওয়ামী লীগ কথায় কথায় সংবিধানের দোহাই দেয়। সুতরাং সমাবেশে বাধা দিয়ে সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করবে- এমনটা আমরা আশা করি না। অবশ্য পরে প্রধানমন্ত্রী নিজেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিবন্ধীত রাজনেতিক দলগুলোকে সভা-সমাবেশের অনুমতি দিতে পুলিশের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এর আগেই মহানগর নাট্যমঞ্চে সমাবেশের অনুমতি দেয়ায় এ নিয়ে বিতর্কে জড়াতে চাননি ড. কামাল। বরং পুলিশের অনুরোধ মেনে নিয়ে মহানগর নাট্যমঞ্চেই সমাবেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। অবশ্য এ প্রসঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে গণফোরাম সভাপতি বলেছেন, ‘২২ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। একই দিন মহানগর নাট্যমঞ্চে অনুমতি দেয়া হয়েছে। সাহরাওয়ার্দীতে সরকারের সবাই সমাবেশ করতে পারে। অথচ বিরোধীরা চাইলেই সঙ্গে সঙ্গে না করে দেয়া হয়। এটা বৈষম্য। এটা সংবিধানের ১৬ আনা পরিপন্থী।’ জাতীয় ঐক্যের সমাবেশে যোগ দেবে বিএনপি মহানগর নাট্যমঞ্চে ২২ সেপ্টেম্বর আয়োজিত জাতীয় ঐক্যের সমাবেশে যোগ দেবে বিএনপি। বুধবার রাতে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যোগ দেবেন। জাতীয় ঐক্যের পক্ষ থেকে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বৈঠকে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যসহ আন্দোলনের বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে অধিকাংশ সদস্য ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গঠনের পক্ষে মত দিয়েছেন। এ ব্যাপারে মির্জা ফখরুল লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সম্প্রতি সাক্ষাতে সবুজ সংকেত নিয়ে এসেছেন। দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় বুধবার রাতে। এর আগে সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত দলের নীতিনির্ধারকদের বৈঠকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে ১৩ দফা ও উপদফা এবং ৯টি লক্ষ্যে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। এই খসড়া নিয়ে ড. কামালের সঙ্গে বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল নেতা এ কথা বলেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিএনপির এই খসড়ার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন ড. কামাল হোসেন। ড. কামাল হোসেন ছাড়াও বাম গণতান্ত্রিক জোটের ৮টি দলের সঙ্গেও এ বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে একাধিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা এ কাজ করছেন। বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য ইস্যুতে গত ১০ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যানদের বৈঠকেও এ বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন। ওই বৈঠকে ১৫ জনের মতো ভাইস চেয়ারম্যান বক্তব্য রাখেছেন। প্রত্যেকের বক্তব্যে ঘুরে ফিরে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য করার বিষয়টি উঠে আসে। সবাই বলেছেন, দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি মানতে সরকারকে বাধ্য করতে প্রয়োজন হলে আমাদের সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে হলেও বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য করতে হবে। আর এটা হয়ে গেলে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে গতি বাড়াতে হবে। জাতীয় ঐক্য গড়ার জন্য দলের স্থায়ী কমিটি যে পদক্ষেপ নিয়েতে তাতে পুর্ণ সমর্থন দিয়েছে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানরা। একই ইস্যুতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাদের মতামত নিতে ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশানে বৈঠক হয় দলের নীতি নির্ধারকদের। অপরদিকে দেশ, গণতন্ত্র, মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গঠনের বিষয়ে সম্মত হয়েছেন বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলের নেতারাও। গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কর্যালয়ে জোটের বৈঠকে এ বিষয়ে সবাই ঐক্যমত পোষণ করেন। এর আগে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বড় রাজনৈতিক জাতীয় ঐক্য গড়তে ছাড় দিতে বিএনপি প্রস্তুত বলে জানিয়েছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছিলেন, “আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে, গ্রেটার ইউনিটি কখনোই হবে না, যদি না আমরা কিছু ত্যাগ স্বীকার করি। ওই সব ছাড় দিয়ে আমাদেরকে আজকে একটা না একটা জায়গায় আসতে হবে। আমরা সেই চেষ্টাই করছি। গোটা দেশ এটাই চায়।”





আরো খবর