শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৯:০৪ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


বৃহস্পতিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৭:১৩:০৯ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

সারিয়াকান্দিতে যমুনা-বাঙালি নদীর পানি বাড়ছে

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা ও বাঙালি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানির তীব্র স্রোতে নদী তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নিচু এলাকার বসতভিটা ও ফসলি জমি তলিয়ে যাচ্ছে। আজ বুধবার দুপুরে মথুরাপুর গজ স্টেশনে পানি বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বাঙালি নদীতেও পানি বাড়ছে। যমুনার তীরবর্তী চরবাহুলাডাঙ্গা, মানিকদাইড়, ভাঙরগাছাসহ আশপাশের বিভিন্ন গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বাঙালি নদীর উত্তর গনকপাড়া, ভেরামারা, গোদাগাড়ী, মালোপাড়া, নিজ বরুরবাড়ী, পাইকপাড়া, মাছিরপাড়া, বাঁশহাটা গ্রামে ভাঙন শুরু হয়েছে। এসব এলাকার বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এদিকে গাইবান্ধার ফুলছড়ির তিস্তামুখ ঘাট পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র ও গাইবান্ধা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ঘাঘট নদীর পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি বুধবার বিপদসীমার ৭ সেমি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। অপরদিকে তিস্তার পানি বুধবার ২৩ সেমি. এবং করতোয়ার পানি ৬ সেমি. হ্রাস পায়। বর্তমানে ঘাঘট, তিস্তা ও করতোয়ার পানি বিপদসীমার অনেকটা নিচে রয়েছে। এদিকে ফুলছড়ি উপজেলার ১৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পানি ওঠায় পাঠদান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া বন্যার পানিতে আমন ক্ষেত ডুবে থাকায় বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষীরা। জেলা ত্রাণ দফতর জানিয়েছে, বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নের ৮৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ওইসব গ্রামে ১২ হাজার ৮১০ পরিবারের বাড়িঘর ডুবে গেছে। জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী জানান, এ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণের জন্য ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১শ’ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।





আরো খবর