বাম্পার উৎপাদন হওয়া সত্বেও অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের লবণের বাজার। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মিল পর্যায়ে প্রতি কেজি লবণের দাম বেড়েছে এক থেকে দেড় টাকা। বিশেষ করে আসন্ন কোরবানির ঈদে পশুর চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার জন্য লবণের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। তবে মাঠ পর্যায়ে চাষিদের মজুদের পাশাপাশি পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় লবণের দাম বাড়ছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
স্বাভাবিক সময়ে রিফাইন্ডের পর মিল পর্যায়ে ৭৪ কেজির প্রতি বস্তা লবণ বিক্রি হয় সাড়ে ৫শ থেকে ছয়শ টাকা। বছর জুড়ে লবণের দাম স্থির থাকলেও কোরবানির আগে শুরু হয় লবণের বাজারের অস্থিরতা। মিল কিংবা পাইকারি সব ক্ষেত্রেই চলে লবণের দামের নৈরাজ্য। প্রতি বছরের মতো এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চলতি মাসের শুরুতে প্রতি বস্তা লবণ মিল পর্যায়ে ৬শ ৫০ থেকে ৬শ ৬০ টাকা হলেও বর্তমানে বস্তা প্রতি একশ টাকার বেশি বেড়ে গেছে।
দেশে বছরে লবণের চাহিদা প্রায় ২১ লাখ মেট্রিক টন। এবার মাঠ থেকেই লবণ উৎপাদন হয়েছে ১৮ থেকে ১৯ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে খাবার লবণের চাহিদা তুলনামূলক বেশি হলেও কোরবানির চামড়ার জন্য ৮ থেকে ৯ লাখ মেট্রিক টন প্রয়োজন হয়। কিন্তু বাম্পার উৎপাদন হওয়া সত্বেও লবণের দাম বৃদ্ধির জন্য পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের চাষিদের দোষারোপ করছেন ব্যবসায়ীরা।
তবে লবণের দাম বাড়তে থাকলে সবচে বেশি সমস্যায় পড়তে হবে চামড়া ব্যবসায়ীদের। প্রতিটি চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য ৮ থেকে ৯ কেজি লবণের প্রয়োজন। সরকার এবার চামড়ার দর নির্ধারণ করে দিয়েছে আগের বছরের চেয়ে কম।
বছরের ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত চার মাস বাংলাদেশে লবণ উৎপাদনের মৌসুম। আর বন্দরনগরীর মাঝির ঘাট এলাকায় ৫৬টি এবং জেলার পটিয়ার ইন্দ্রপোল এলাকায় ৩৫টির মতো লবণ কারখানা রয়েছে।