রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ, ১৪৪৫ | ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


শুক্রবার, ১৭ আগস্ট ২০১৮ ০৬:১০:৫৪ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

পটুয়াখালীতে ধর্ষণ আতঙ্কে অর্ধশত নারী, মা-বোনদের রক্ষায় রাত জাগছে পুরুষেরা!

ধর্ষণের হাত থেকে মা, বোন বা মেয়েকে রক্ষায় এখন নির্ঘুম রাত কাটে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের। ধর্ষণের শিকার হবার পরও লোকলজ্জার ভয়ে আইনের আশ্রয় নেননি বলে জানান বেশ কয়েকজন নারী। তাই মুখোশের আড়ালেই থাকছে ধর্ষকরা। সম্প্রতি এই এলাকার ১১ বছরের শিশু ইভা ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর বেরিয়ে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। তবে, পুলিশের দাবি, ইভার ঘটনা বাদে বাকি সব গুজব। গত ১৪ই আগস্ট পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার সেরাজপুর গ্রামে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয় ১১ বছরের শিশু ইভা। স্বজনরা বলছেন, ইভাকে ধর্ষণের ঘটনাটি ছিলো সুপরিকল্পিত। ধর্ষণের দু’একদিন আগে থেকেই ধর্ষকরা কৌশলে ইভার কাছ থেকেই জেনে নেয়, তার বাড়িতে কে কখন থাকে। ঘটনার দিন রাতে দরজার খিল কেটে ঘরে ঢুকে ধর্ষকরা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের পাপাশাশি মোবাইল ও টর্চ লাইটের ব্যাটারি খুলে ফেলে। এরপর ইভাকে দু’পা পাটাতনের সঙ্গে বেঁধে, গলায় ও মুখে ওড়না পেঁচিয়ে ধর্ষণের পর মেরে ফেলা হয়। এলাকাবাসী জানান, ইভা ধর্ষণের মতো ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। মহিপুর, সেরাজপুর, গঙ্গামতী ও কুয়াকাটার পূর্বাংশে গত দু’মাস ধরে বেশ কয়েকজন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। রেহাই পাননি ৬০ বছরের বৃদ্ধা ও ১০ বছরের কম বয়সী শিশুও। লোকলজ্জার ভয়ে আইনের আশ্রয় নেননি তারা। ধর্ষকদের হাত থেকে স্ত্রী, মা, বোন ও মেয়েকে বাঁচাতে বাধ্য হয়ে লাঠি হাতে রাতভর পাহারা দিচ্ছেন পুরুষরা। এক স্থানীয় জানান, ‘রাতে চুরি-ডাকাতি, ধর্ষণ চলে। প্রায়ই চলে।’ আরেকজন বলেন, ‘প্রশাসনের লোক আসতে পারছে না আমাদের কাছে। এখন কী করবো, বাধ্য হয়ে আমাদের নিজেদেরকেই নামতে হচ্ছে।’ আরেক এলাকাবাসী জানান, ‘রাতে এসে জানালা ধরে টান দেয়, কপাট ধরে টান দেয়। ধরলে বলে, আমরা ট্রলারের লোক। চেয়ারম্যান, মেম্বারের ট্রলার।’ ধর্ষণ আতঙ্কিত এসব এলাকাগুলো শিববাড়িয়া খাল সংলগ্ন। প্রতিদিন শত শত মাছ ধরার ট্রলার আসে এই খালে। ধর্ষকরা চিহ্নিত না হবার পেছনে প্রশাসনের অবহেলাকেই দায়ী করছেন এলাকাবাসী। থানার ওসি ইভার ধর্ষণ বাদে অন্য সব ঘটনাকে গুজব দাবি করলেও বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিচ্ছিন্ন দুয়েকটি ঘটনার কথা শোনা যায়। এগুলো রিউমার। এলাকায় গেলে দেখা যায় যে এধরনের কোনো ঘটনার সত্যতা নেই।’ পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জালাল আহাম্মেদ বলেন, ‘ঘটনার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ আমরা এখনও পাইনি। এগুলো আমাদের মাথায় আছে। এগুলো নিয়েই তদন্ত এগুচ্ছে।’ ইভা ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত ৪ জনকে আসামি করে মহিপুর থানায় মামলা করেছেন শিশুটির বাবা ইসমাইল। এদিকে, নিজেদের ইজ্জত রক্ষায় প্রশাসনের জোরালো হস্তক্ষেপের দাবিতে থানায় আবেদন করেছেন প্রায় অর্ধশত নারী।





আরো খবর