গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটানো হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে তৃতীয় তলায় কনফারেন্স লাউঞ্জে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুব হোসেন বলেন, বাংলাদেশের মানুষেরও ধৈর্যের সীমা রয়েছে। আমাদের এই শান্তিপ্রিয় আন্দোলন পর্যায়ক্রমে গণআন্দোলনে রূপ নেবে এবং অতীতেও এসব হয়েছে। স্বৈরাচারী সরকাররা কখনও ইচ্ছাকৃতভাবে যায় না। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়েই তাদের পতন ঘটাতে হয়েছে। এবারও তাই হবে।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দল।
মাহবুব হোসেন আরও বলেন, আজকে যদি আমরা মিছিল করতাম, হরতাল দিতাম, তাহলে সরকারি বাহিনী মিছিলে ঢুকে গাড়ি পোড়াতো, পেট্রোল বোমা মারত, অতীতে যা হয়েছে। সেই কারণে আমরা অত্যন্ত সচেতনভাবে দেশে যাতে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, তাই শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছি। এর অর্থ এই নয় যে বিএনপির আন্দোলন করার ক্ষমতা নেই। আমরা অত্যন্ত ধৈর্য্য সহকারে আন্দোলনে আছি, থাকব। কিন্তু সরকারের ফাঁদে পা দিব না।
বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়া হয়েছে। আমার মনে হয় এই সাজা সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে প্রপাগান্ডা ছড়িয়েছে বেগম খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে খেয়েছে, দুর্নীতি করেছে। আদালত রায় দিয়েছেন।
উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতিকে ঘাড় ধরে তাড়িয়ে দেয়ার পরে দেশে বিচার বিভাগ বলে কিছু থাকে না। স্বাভাবিকভাবেই নিম্ন আদালত গুলো সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাচ্ছে। তবে আমাদের রাজপথে থাকতে হবে। রাস্তায় থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নেত্রীর মুক্তি আমরা দাবি করি না। আমরা দাবি করি ভোটের মুক্তি, গণতন্ত্রের মুক্তি। নেত্রীর নির্দেশে আমরা আছি, থাকব।
তিনি বলেন, আগামীকাল রেববার জামিন আবেদন করা হবে। দেশে যদি আইনের শাসন লেশমাত্র থাকে তাহলে তিনি মুক্তি পাবেন, জামিন পাবেন। তিনি ফিরে এসে যে কোনো সময় যদি ডাক দেন তখন কিন্তু আমাদের রাস্তায় নামতে হবে। সেই রাস্তায় নামাটাই হবে শেষ নামা। যেদিন তিনি রাস্তায় নামার নির্দেশ দিবেন সেই দিনই এই সরকারের শেষ দিন হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আয়োজক সংগঠনের সহসভাপতি সালাউদ্দিন পিপিএম এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন সরদারের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম সিদ্দিক, শিক্ষক নেতা জাকির হোসেন, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনেরর সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, সংগঠনের নেতা হুমায়ুন কবির, মেজবাহ উদ্দিন, গাউসুর রহমান, ফিরোজ মাহমুদ প্রমুখ।