রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৬:৫৯ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


রোববার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ ০২:৫৬:৪৫ অপরাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

পাসপোর্ট-ভিসা নেই, তবুও যাত্রীবাহী বিমানে উঠে বসলো পুলিশের এসআই!

ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এক আত্মীয়কে এগিয়ে দিতে পুলিশের পোশাকে ব্যাংককগামী থাই এয়ারওয়েজেরে একটি বিমানে উঠে বসেন উপপরিদর্শক (এসআই) আশিকুর রহমান। তার কাছে কোনো পাসপোর্ট-ভিসা ছিল না। ছিল না পেশাগত কোনো প্রয়োজন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর রাতে ওই বিমানটি চালাতে অস্বীকৃতি জানান পাইলট। বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পারে বিমান কর্তৃপক্ষ। পরে যাত্রীদের অনুরোধে এক ঘণ্টা দেরিতে উড়োজাহাজটি আকাশে ওড়ে। জানা গেছে, ব্যাংককগামী টিজি-৩৪০ উড়োজাহাজটির শনিবার রাত দুইটার সময় ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। পরে সিভিল অ্যাভিয়েশন ও শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে রাত তিনটার দিকে উড়োজাহাজটি এক ঘণ্টা দেরিতে ঢাকা ছাড়ে। সূত্র জানায় এসআই আশিকুর রহমান ঢাকা রেঞ্জে কর্মরত। সম্প্রতি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) বদলি হয়েছেন। তাঁর বাড়ি গোপালগঞ্জ বলে তিনি বিমানবন্দরের কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে পুলিশ ও বিমানবন্দরে নিয়োজিত বিভিন্ন সংস্থা নানাভাবে চেষ্টা করে গেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। ১০ শর্তে প্রায় দুই বছর পর আজ রোববার বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে সরাসরি কার্গো পরিবহনে বাধা কাটে। নিরাপত্তাসহ কয়েকটি কারণে ২০১৬ সালের ৮ মার্চ যুক্তরাজ্যের ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্ট হজরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কার্গো পণ্য পরিবহনে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর মধ্যেই শনিবারের এ ঘটনা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে বিব্রত করেছে। বিমানবন্দর সূত্র জানায়, শনিবার রাতে রেঞ্জ পুলিশের নীল ইউনিফরম পরে এসআই আশিকুর রহমান বিমানবন্দরে ঢোকেন। কর্মকর্তারা তাঁকে আটকালে তদন্তের প্রয়োজনে ভেতরে যাওয়া প্রয়োজন বলে তিনি গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করে ভেতরে ঢুকে যান। পরে তাঁকে আবিষ্কার করা হয় থাই এয়ারওয়েজের ভেতরে। বিমানটি তখন উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় বিমানে তাঁর বেআইনি অবস্থান শনাক্ত হলে বিমানকর্মীরা তাঁকে নামিয়ে আর্মড পুলিশের হেফাজতে দেন। বিমানটির উড্ডয়ন বাতিল করা হয়। ভ্রমণের ন্যূনতম কাগজপত্র ছাড়া বিমানে কারও উঠে বসার পরে নিরাপত্তা ঝুঁকি দেখিয়ে বিমান চালাতে অস্বীকৃতি জানান ক্যাপ্টেন। এরপরে সিভিল এভিয়েশন ও বিমানবন্দরের লোকজন বিমানটির ক্যাপ্টেনের সঙ্গে দেনদরবারের পরে তিনি বিমান নিয়ে আকাশে ওড়েন। আটকের পর ওই এসআই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বলেন, তিনি তাঁর মামিকে এগিয়ে দিতে বিমানের ভেতরে গিয়েছিলেন। এদিকে এ ঘটনায় চরম বিব্রত হয়েছেন বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা। অনেকেই এ বিষয়ে কথা বলতে চাননি। কেউ কেউ বিষয়টিকে গণমাধ্যমে না আনার কথা বলেছেন। তবে বিষয়টি যে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্য গুরুতর নিরাপত্তা লঙ্ঘন, তা সবাই স্বীকার করেছেন। সাধারণত বিমানবন্দরের এমন জায়গায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, তল্লাশি ছাড়া কারোরই ঢোকার কথা নয়।





আরো খবর