বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০১৮ ০৯:৫২:৪৫ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

খালেদা ভীতিতে সরকারের মাথায় গোলযোগ সৃষ্টি হয়েছে: ফখরুল

ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গতকাল জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য যেন গণতন্ত্রের ওপর বিষাক্ত তীর নিক্ষেপ। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে তীর্যক ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন তা শুধু অনভিপ্রেত বা দু:খজনকই নয়, বরং এটি রাজনৈতিক পরিবেশ এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে সন্দেহ ও সংশয় দানা বাঁধবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কুৎসামূলক অপপ্রচারের এই বক্তব্য রাজনৈতিক বিভেদ-বিভাজনকে আরো প্রসারিত করবে ও গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনাকে দানবীয় শক্তি প্রয়োগে বাধা দেয়ার সামিল বলে গণ্য হবে। ক্ষমতাসীনদলের নেতৃবৃন্দ কেন এখন বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে এতো তীব্র মিথ্যাচারে লিপ্ত হলেন, তার প্রধান কারণ হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের অনাচার-অপকর্মের বিরুদ্ধে বেগম জিয়া এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। খালেদা-ভীতির কারণেই ক্ষমতাসীনদের মস্তিস্কে গোলযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, হাজারো মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্র এবং অরুচিকর বক্তব্য দিয়েও বেগম খালেদা জিয়াকে জনগণের কাছে হেয় ও অপ্রাসঙ্গিক করতে পারেনি সরকার। বরং গণতন্ত্রহারা জাতি এই ক্রান্তিলগ্নে গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার আকুতিতে বেগম জিয়া এখন একক ও অনন্য প্রাসঙ্গিক ব্যক্তি। দিনকে দিন অজস্র উস্কানি সত্বেও বেগম জিয়া ধৈর্য ও সংযমের সঙ্গে সবকিছু মোকাবেলা করছেন। হিংসামূলক কুৎসা রটানোর জবাবেও বেগম জিয়া নিজেকে সংযত রেখেছেন। এটাই হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রনায়কোচিত ভূমিকা, বিএনপি’র সাফল্যের চাবিকাঠি। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ের হাওয়া তুলতে বেগম জিয়া সফল হয়েছেন বলেই প্রধানমন্ত্রী অসংযত, অসংসদীয় কথাবার্তা বলছেন। বিএনপি ‘ইনক্লুসিভ পলিটিক্স’ এ বিশ্বাসী। আগামী নির্বাচন সকল দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত করতে বিএনপি দৃঢ় বদ্ধপরিকর। এটাই দেশবাসীর আকাঙ্খা। জনগণের আকাঙ্খার সমান্তরালেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি রাজনীতি করে এমন মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের সর্বত্র নির্বাচনের আওয়াজ দিচ্ছেন অন্যদিকে বিষাক্ত-প্রতিহিংসামূলক বক্তব্য দিয়ে একটা অবাধ ও সুষ্ঠু রাজনৈতিক নির্বাচনী পরিবেশকে করছেন কলুষিত। বাংলাদেশের মানুষের আগামী দিনের স্বচ্ছ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশাকে তিনি দু:স্বপ্নে পরিণত করছেন। তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত-পদ্মা সেতু নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে তা নিয়ে তিনটি পদ্মা সেতু বানানো যেতো। বর্তমান সরকারের আমলে বেপরোয়া দুর্নীতিকে উন্নয়নের বড় অংশীদার করা হয়েছে। সেজন্য উন্নয়নের অগ্রগতি নেই, আছে শুধু আস্ফালন ও কটুবাক্যের তীব্রতা। বিএনপি মহাসচিব বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্রীজ, কালভার্ট, ফ্লাই ওভার, সড়ক-মহাসড়ক, শেয়ার বাজার সবকিছুই লাগামহীন দুর্নীতির এক একটি মাইল ফলক। আর এসব দুর্নীতির সাথে ক্ষমতাসীনদের শীর্ষ ব্যক্তিরাই জড়িত। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিরোধী মত ও বিশ্বাসকে দমন করে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণে নিয়েও সরকার তাদের দুর্নীতি চাপা দিয়ে রাখতে পারছে না। ২০১৬ সালে সুইজারল্যান্ড কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা যায়-২০১৫ সালেই বাংলাদেশ থেকে তাদের দেশের ব্যাংকে জমা হয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা কার সেটা দেশবাসী জানে। কারণ এই সরকার অর্থপাচার রোধে তৎপরতা দেখায়নি। তবে কানাডায় বেগমপাড়া এবং মালেশিয়ায় সেকেন্ড হোমের মালিক কারা সেটিও দেশবাসী জানে। সুতরাং দেশের বাইরে বেগম জিয়ার সম্পদের কাল্পনিক ও মনগড়া কাহিনী রচনা করে কোন ফায়দা হবে না। সরকার প্রধান যে নির্বাচনের আগে জনগণের দৃষ্টির সামনে মিথ্যার ফানুস ওড়াতে চাচ্ছেন সেটি দেশবাসীর অজানা নয়।





আরো খবর