লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে বিটুমিনের পরিবর্তে পোড়া মবিল দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করার পাঁচ দিনের মাথায় কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। কাজের মান নিয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন তুললে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার লালমনিরহাটের আদিতমারী থানায় একটি চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এদিকে নিম্নমানের কাজের অভিযোগে সরেজমিন পরিদর্শনে আসেন লালমনিরহাট স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী। অভিযোগের সত্যতা পেলে স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ঠিকাদারকে এ কর্মকর্তার সামনে লাঞ্ছিত করেন। পরে এলাকাবাসীর ধাওয়ায় ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে য়ায় ঠিকাদার।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কমলাবাড়ি ইউনিয়নের বামনের বাসা-খালেক মোকতারের বাড়ী পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা পাকা করার জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতর লালমনিরহাট থেকে প্রায় ৫৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।আর এ কাজের তদারকির করবেন উপজেলা প্রকৌশলী অধিদফতর।
আলমগীর হোসেনের নামে কাজটি কাগজে কলমে থাকলেও তার নামে কাজ করছেন স্থানীয় ঠিকাদার সহিদুল ইসলাম। ঠিকাদার উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সাথে আঁতাত করে বিটুমিনের পরিবর্তে পোড়া মবিল দিয়ে রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করা হয়। প্রথম থেকেই স্থানীয় লোকজন কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুললেও কোন কর্ণপাত করেননি ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্ট বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের কেউও।
এলাকাবাসী নির্বাহী প্রকৌশলী ও স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছে পেয়ে এসময় আক্ষেপে ফেটে পড়েন। বামনের বাসা মোড়ের বাবলু মিয়া বলেন, 'এমন নিম্নমানের কাজ জীবনেও আমি দেখিনি। নিম্নমানের কাজের প্রতিবাদ করতে গিয়ে উল্টো চাঁদাবাজির মামলার স্বীকার হলাম। আপনারই তো নিজ চোখে দেখলেন, কাজের মান কতটা খারাপ।'
আদিতমারী উপজেলা প্রকৌশলী ফজলুল হক কাজের মান একটু নিম্ন হয়েছে স্বীকার করে বলেন, কি আর করার ঠিক ঠাক করে দিবে ঠিকাদার। সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার সহিদুল ইসলাম এ বিষয়ে সংবাদকর্মীদের সাথে কোন কথা বলতে রাজি হননি।
লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম জাকিউল রহমান বলেন, রাস্তায় বিটুমিনের পরিমাণ কম দেয়ায় এধরনের ঘটনা ঘটেছে। তিনি দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।