রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ, ১৪৪৫ | ০১:৫৪ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ ১২:৪২:৪৩ অপরাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

আকায়েদের স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে

ঢাকা: নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে বাস টার্মিনালে বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক আকায়েদ উল্লাহর স্ত্রী এবং শ্বশুর-শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আকায়েদের বিষয়ে বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেক জানানো হয়েছে। সোমবার ওই বিষয়ে তথ্য জানানোর পরপরই আকায়েদের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া শুরু করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এরই মধ্যে তার স্ত্রী এবং শ্বশুর-শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্র্যান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এতথ্য জানিয়েছেন। পুলিশ সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে জিগাতলার মনেশ্বর রোডের বাসা থেকে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটি)আকায়েদের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস এবং তার শ্বশুর-শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ম্যানহাটনে টাইম স্কয়ার সাবওয়ে স্টেশন থেকে বাস স্টেশনে যাতায়াতের ভূগর্ভস্থ পথে বোমা হামলা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আকায়েদ উল্লাহকে আটক করা হয়। বিস্ফোরণে তিনি গুরুতর এবং তিনজন পথচারী সামান্য আহত হয়েছেন। পুলিশ বলছে, আটক ব্যক্তি পাইপের মধ্যে ব্যাটারি ঢুকিয়ে তৈরি বোমা বহন করছিলেন। বাস টার্মিনালে হেঁটে যাওয়ার সময় সেটি আংশিক বিস্ফোরিত হয়। ধারণা করা হচ্ছে, লক্ষ্যস্থলে পৌঁছার আগেই বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় সময় সোমবার সকালে ম্যানহাটনের ৮ অ্যাভিনিউ ও ৪২ স্ট্রিটে ওই বিস্ফোরণের বিষয়ে জোর অনুসন্ধান শুরু করেছে নিউইয়র্ক পুলিশ। নিউইয়র্ক সিটির পুলিশ কমিশনার জেমস ও’নেইল বরাতে সিবিএস নিউজ জানায়, ২৭ বছর বয়সী আকায়েদের বাড়ি বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাবা-মায়ের সঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। পরে আকায়েদ স্থায়ী মার্কিন অধিবাসী হিসেবে নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে বসবাস করতে শুরু করে। নিউ ইয়র্ক সিটি ট্যাক্সি এবং লিমোজিন কমিশন জানিয়েছে, ব্রুকলিনে ট্যাক্সিচালক হিসেবে কাজ করতেন আকায়েদ। ২০১২ মার্চ থেকে ২০১৫ মার্চ পর্যন্ত তার নামে ট্যাক্সির লাইসেন্স ছিল। নিউইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি একটি বৈদ্যুতিক কোম্পানিতে কাজ করছিলেন আকায়েদ। সেখানে তার ভাইও কাজ করতেন।





আরো খবর