বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৮ জিলকদ, ১৪৪৫ | ০৬:১০ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০১৭ ১০:২০:৩২ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

আটকের পর নির্যাতন: সাবেক যুবরাজ আইসিইউতে, অন্যরাও হাসপাতালে

সৌদি আরবে গ্রেফতার হওয়া প্রিন্সদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হয়েছে। এতে অন্তত ছয়জন প্রিন্স গুরুতর আহত হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে সাবেক বাদশাহ আব্দুল্লাহর পুত্র প্রিন্স মিতেব বিন আবদুল্লাহর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে বর্তমানে একটি হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ এ বিষয়ে একটি বিশেষ সংবাদ প্রকাশ করেছে। গত ৫ নভেম্বর থেকে সৌদি আরবে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০ জনের বেশি গ্রেফতার করা হয়েছে। যার বেশিরভাগই সৌদি রাজপরিবারের সদস্য। গ্রেফতার হওয়া এসব প্রভাবশালী সৌদি নাগরিকের ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। আটক রাজপরিবারের সদস্যদের বিলাসবহুল রিটজ-কার্লটন হোটেলে রাখা হয়েছে। ওই হোটেলে নেয়ার পর তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয় বলে ডেইলি সাবাহর খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে নির্যাতনের ফলে বেশ কয়েকজন প্রিন্স আহত হন। এর মধ্যে ছয়জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গ্রেফতার করে রিটজ-কার্লটন হোটেলে নেয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। আহত প্রিন্সদের মধ্যে সবচেয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন সৌদির সাবেক বাদশাহ আব্দুল্লাহর ছেলে মিতেব বিন আব্দুল্লাহ। খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তার একত্রে হৃৎপি-, কিডনি ও ফুসফুসে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া তিনি উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। হাসপাতালের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, মিতেব যে অবস্থায় ভুগছেন তা মূলত আত্মহত্যাচেষ্টার পর যে অবস্থার সৃষ্টি হয়, তার সঙ্গে তুলনা করা যায়। একসময়ের এ ক্রাউন প্রিন্সকে সৌদির পরবর্তী বাদশাহ মনে করা হতো।কিন্তু বর্তমান বাদশাহ সালমানের ছেলে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে বিপদে পড়েন তিনি। ডেইলি সাবাহর প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাসপাতালে যাদের আনা হয়েছে, তাদের প্রত্যেককে ব্যাপক মারপিট করা হয়েছে। কিন্তু কারো কোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ভাঙেনি। ফলে মনে করা হচ্ছে, প্রশিক্ষিত লোকজনই এসব প্রভাবশালী সৌদি নাগরিককে পিটিয়েছে। তাদের সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত বুট দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।





আরো খবর