সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলকদ, ১৪৪৫ | ০৪:৩৯ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:৩৩:৫৭ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

ছেলে বাবাকে ফেলে গেলেও নানার দায়িত্ব নিয়েছে নাতি

৭০ বছরের বৃদ্ধ বাবাকে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া শহীদ মিনারের সামনে এনে ফেলে দিয়ে গেছেন তার একমাত্র ছেলে সন্তান। পরে রাতেই মেয়ের ঘরের নাতি এসে হাসপাতালে থেকে নানাকে ঢাকায় নিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে। চাষাড়া পুলিশ ফাঁসির এসআই আব্দুল মোমেন জানান, আমি শুক্রবার সকালে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে জানায় ওই বৃদ্ধের নাতি এসে বৃদ্ধকে নিয়ে গেছে। কোন নাম ঠিকানা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নোট করেনি। এদিকে বৃদ্ধের চিকিৎসার তত্ত্বাবধানে থাকা চিকিৎসক তাহমিনা নাজনীন জানান, রাতে বৃদ্ধের মেয়ের ঘরের নাতি এসে তাকে নিয়ে গেছেন। তার নামটা মনে করতে পারছি না। সে জানিয়েছে বৃদ্ধের বাসা ঢাকার লালবাগে। গত বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া শহীদ মিনারের সামনে পতিত অবস্থায় দেখা যায় ৭০ বছরের একজন বৃদ্ধকে। কথা বলতে পারেন না। কিছু খেতেও পারেন না। হাটতে বসতে ওঠতে পারেন না। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে ভিজতেছেন তিনি। এমন সময় শহীদ মিনারের পাশ্ববর্তী মার্কেট বেইলী টাওয়ারের সামনে বৃদ্ধকে পড়ে থাকতে দেখে কজন লোক প্রথমে শহীদ মিনারের ভিতরে এনে একটি গাছের নিচে শুয়ে দেন বৃদ্ধকে। শেষ বিকেলে সন্ধার দিকে কজন সংবাদকর্মীদের খবরে চাষাড়া ফাঁড়ি পুলিশ এসে ওই বৃদ্ধকে নারায়ণগঞ্জ খানপুর ৩শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। বৃহস্পতিবার শহীদ মিনারে দুপুরের দিকে একজন একটি লুঙ্গি কিনে বৃদ্ধকে পরিয়ে দিয়ে যায়। অনেকেই খাবার খেতে দেয় কিন্তু বৃদ্ধ খাবার খেতে পারেনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই বেইলী টাওয়ারের সামনে বৃদ্ধকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তবে কে বা কারা তাকে এখানে ফেলে রেখে গেল তা জানা যায়নি। বৃহস্পতিবার চাষাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোমেন জানান, ‘অজ্ঞাত বৃদ্ধ লোকটি সারাদিন শহীদ মিনারে পড়ে থাকতে দেখে আমি কয়েকজনের সহায়তায় তাকে খানপুর ৩শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে দেই। চিকিৎকরা বলেছেন, লোকটির শরীরের অবস্থা খুবই খারাপ। তাই তাকে স্যালাইন দেয়া হয়েছে। এখনো তেমন কিছু বলা যাচ্ছেনা।’ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাহমিনা নাজনীনের তত্তাবধানে ছিলেন ঐ বৃদ্ধ।





আরো খবর