শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৮:৩৭ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৭ ০৮:৩৪:০৩ অপরাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

সরকার সমঝোতায় না আসলে কঠোর আন্দোলনের সিদ্ধান্ত জোটের বৈঠকে

ঢাকা: নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি সরকার না মানলে রাজপথে কঠোর আন্দোলনে নামার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ২০ দলীয় জোট নেতারা। বুধবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে সবাই এ বিষয়ে একমত হয়ে সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা গেছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন একাধিক নেতা আরটিএনএনকে জানান, দলীয় সরকার তথা শেখ হাসিনার অধীনে কোনো মতেই নির্বাচনে না যাওয়ার বিষয়ে জোটের এই বৈঠকে সকলেই নীতিগতভাবে একমত হয়েছেন। বৈঠক সূত্র আরো জানায়, একইসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ৮ বিভাগে জোটের পক্ষে জনসভা করারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বৈঠকে। মেয়াদের তিন মাস আগে সংসদ ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়া দাবির পক্ষে এখন থেকেই জোড়ালো ভাবে জনমত গড়ে তোলার জন্য নিজ নিজ দলের নেতাকর্মীদেরও সক্রিয় করতে বৈঠকে আলোচনা করা হয়। সরকারের সঙ্গে সমঝোতার করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার পাশাপাশি সরকার দাবি না মানলে রাজপথে কঠোর আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ারও আহবান জানান খালেদা জিয়া। জানা যায়, রংপুরসহ ছয় সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও যাবে বিএনপি। রংপুরে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জোটের নেতারাও সফর করবেন। এ ছাড়া ডিসেম্বরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০ দলীয় জোট সমর্থিত আইনজীবীদের মহাসমাবেশে খালেদা জিয়া যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দাবিতে এই কর্মসূচি ডাকা হবে। চার মাস পর ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। রাত ৯টার শুরু হওয়া বৈঠকটি চলে রাত ১১টা ২০ মিনিটি পর্যন্ত। দুই ঘন্টাব্যাপী এই বৈঠকে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা সমস্যা ও নির্বাচনের বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীসহ ১৭ টি শরিক দলের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর কারণে তিনি ছিলেন না। জোটের শরিক লেবার পার্টিকে সংগঠনটির উপদলীয় কোন্দল বিভক্ত নেতৃত্বের কারণে কোনো অংশকেই এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে খেলাফত মজলিশের মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) আন্দালিব রহমান পার্থ, জামায়াতে ইসলামীর মাওলানা আবদুল হালিম, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির ডা. রেদোয়ান আহমেদ, ইসলামী ঐক্যজোটের অ্যাডভোকেট এম এ রকীব, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) খোন্দকার গোলাম মূর্তজা, ন্যাশনাল পিপলস পাটির্র ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খাঁন, ন্যাপ-ভাসানী আজহারুল ইসলাম, ইসলামিক পার্টির আবু তাহের চৌধুরী, জমিয়তে উলামা ইসলামের মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, ডেমোক্রেটিক লীগ (ডিএল) সাইফুদ্দিন মনি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ২০ দলীয় জোটের মূখপাত্র বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।





আরো খবর