পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেছেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে আমাদের মনে হয়েছে, সিলেট কোতোয়ালি থানার বন্দর বাজার ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে আমাদের দরকার। সেজন্য আমরা সমগ্র ইমিগ্রেশনে জানিয়ে দিয়েছি, যাতে তিনি পাসপোর্ট নিয়ে পালাতে না পারেন।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে অবস্থিত পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও সীমান্তের বিভিন্ন ইমিগ্রেশন সেন্টারে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আকবর যেন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারেন। এখন আমাদের মূল কাজ হলো আকবরকে আমাদের ধরতে হবে। আমরা টিম রেডি করেছি।’
১০ হাজার টাকার জন্যই কি রায়হানকে হত্যা করা হলো-এমন প্রশ্নে পিবিআই প্রধান বলেন, ‘আমরা বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখছি। একদিনেই সবকিছু বলা যাবে না। তবে আমরা একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কবর থেকে তার মরদেহ আবার উঠাব এবং তদন্ত করব।’
প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাতে সিলেট নগরীর আখালিয়া এলাকার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে রায়হান উদ্দিন আহমদকে (৩৩) বন্দর বাজার ফাঁড়িতে নির্যাতন করে হত্যা করা হয় বলে পুলিশের তদন্তেই বেরিয়ে এসেছে। পরের দিন রবিবার সকালে তার লাশ পায় পরিবার। পরে ওই দিন রাতে নিহত রায়হানের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এ ঘটনায় ওই ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটু চন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ছাড়া প্রত্যাহার করা হয়-সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেনকে।