মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ৬ জিলকদ, ১৪৪৫ | ০৭:১৪ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৩৮:৩৫ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

সন্ধ্যাকালীন কোর্স বিশ্ববিদ্যালয়কে মেলায় পরিণত করছে

সন্ধ্যাকালীন কোর্স বিশ্ববিদ্যালয়কে মেলায় পরিণত করছে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ। সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। এতে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের কসমিক রে রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. তাকাকি কাজিতা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহিদুল্লাহ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সিনেট সদস্য, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা। রাষ্ট্রপতি বলেন, ইভিনিং কোর্সের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সন্ধ্যার পরে মেলায় পরিণত হয়। বাণিজ্যিক ও সান্ধ্যকালীন কোর্সের কারণে দেশের অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এখন দিনে ‘সরকারি’ আর রাতে ‘বেসরকারি’ চরিত্র ধারণ করেছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। কিছু শিক্ষক নিয়মিত কোর্সের ব্যাপারে অনেকটা উদাসীন। কিন্তু ইভিনিং কোর্স, ডিপ্লোমা কোর্স, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়ার ব্যাপারে তারা খুবই সিরিয়াস। কারণ এগুলোতে নগদ প্রাপ্তি থাকে। তিনি বলেন, আমি শুনেছি, তাদের একটা বিষয় ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস। এতে তাদের ২২টা কোর্স। প্রতি কোর্সে সাড়ে ১০ হাজার টাকা। এতে দুই লাখ ৩০ হাজার টাকার উপরে হয়। এর অর্ধেক শিক্ষকরা পান, আর অর্ধেক বিভাগ পায়। বিভাগের টাকা কী হয় জানি না, কিন্তু শিক্ষকরা পাচ্ছেন। আমি এটাও জানি, যাদের শুধু পিএইচডি আছে, শুধু তারাই ক্লাস নেন। বিশ্ববিদ্যালয় জনগণের টাকায় চলে উল্লেখ করে জবাবদিহিও জনগণের কাছে করতে হবে বলে শিক্ষকদের স্মরণ করিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি। গ্র্যাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো কোনো শিক্ষালয় নয়। বাঙালির ইতিহাসের সঙ্গে এই প্রতিষ্ঠানের রয়েছে ঘনিষ্ঠ যোগ। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসে ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬ এর ছয় দফা, ’৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থান, সর্বোপরি ’৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ বিশেষ উল্লেখযোগ্য। প্রতিটি আন্দোলনের সূতিকাগার ছিল এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। রাষ্ট্রপতি বলেন, পদ-পদবি পেয়ে শিক্ষকরা নিজেদের কাজ ভুলে যাচ্ছেন। কোনো কোনো উপাচার্য ও শিক্ষকের কর্মকাণ্ড দেখলে মনে হয় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসল কাজ কী, তা ভুলে গেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুধু জ্ঞানদান করা নয়। অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগানো হচ্ছে আসল কাজ। গবেষণা হচ্ছে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক কাজ।





আরো খবর