রাজধানীর গুলশানে এক তরুণীকে আত্নহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরকে দায়ী করে মামলা দায়ের করেছেন ঐ তরুণীর বোন নুসরাত জাহান।
গুলশান থানায় হওয়া মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীর কাগজ হতে এই তথ্য জানা যায়। ইংরেজি দৈনিক নিউজ এইজ মামলায় অভিযোগ ওঠা ব্যবসায়ীর নাম প্রকাশ না করে গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তীর বরাত দিয়ে জানায়, ‘ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে তরুণীর বোন নুসরাত জাহান মামলা করেছেন।’
এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে চেষ্টা করে অভিযোগ ওঠা সায়েম সোবহান আনভীরের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দেশের মূলধারার গণমাধ্যমগুলোতেও তাঁর কোনো বক্তব্য আসেনি।
নিহত ঐ তরুণীর নাম মোসারাত জাহান (মুনিয়া)। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার মনোহরপুরের উজীর দীঘির পাড়ে৷ সে রাজধানীর একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান।
শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলোর সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যার পর গুলশান ২ নম্বরের ১২০ নম্বর সড়কের একটি ফ্ল্যাট থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মুনিয়া ঐ ফ্ল্যাটে তিনি একাই থাকতেন।
গুলশান থানার উপকমিশনার সুদীপের বরাত দিয়ে প্রথম আলো জানিয়েছে, দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে মোসারাত জাহানের পরিচয় ছিল। তিনি ওই ফ্ল্যাটে যাতায়াত করতেন বলেও তথ্য পেয়েছেন তাঁরা। এই কর্মকর্তার বরাতে আরও বলা হয়, মোসারাত জাহান রবিবার, ২৫ এপ্রিল তাঁর বড় বোনকে ফোন করে বলেন, তিনি ঝামেলায় পড়েছেন। এ কথা শুনে তাঁর বড় বোন সোমবার কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আসেন। সন্ধ্যার দিকে ওই ফ্ল্যাটে যান তিনি। দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলেও বোন দরজা খুলছিলেন না। এরও কিছুক্ষণ আগে থেকে বোনের ফোন বন্ধ পাচ্ছিলেন। পরে বাইরে থেকে ‘লক’ খুলে ঘরে ঢুকে বোনকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন। পরে তিনি বাড়িওয়ালাকে বিষয়টি জানান। তখন পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এই ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং মোসারাতের ব্যবহৃত ডিজিটাল ডিভাইসগুলো জব্দ করেছে পুলিশ।