সুন্দর ত্বক পেতে হলে প্রথমেই আপনার ত্বকের ধরন নির্ধারণ করতে হবে। এটি ত্বকের যত্নের জন্য পণ্য নির্বাচন এবং ত্বকের অন্যান্য যত্নে সহায়তা করবে।
মনে রাখবেন, আপনার ত্বক যদি শুষ্ক হয় তবে তৈলাক্ত কিংবা উভয় উপকরণের মিশ্রণ প্রয়োগ করতে হবে।
অ্যালকালাইন পিএইচ ৭.৩ থাকার কারণে ত্বকের যে কোনো অবস্থার জন্য সবচেয়ে কার্যকর ও প্রাকৃতিক প্রতিষেধক হচ্ছে পানি। এটি ত্বকের পানিশূন্যতা ও শুষ্কতা রোধ করে। প্রতিদিন অন্তত ছয় থেকে আট গ্লাস পানি পান করা উচিত।
আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের মতো ত্বকের স্বাস্থ্যেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পুষ্টি। এ জন্য আপনাকে তাজা ফল, সবুজ পাতাযুক্ত সবজি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন এবং বাড়িতে রান্না খাবারের ওপর নির্ভর করুন।
ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে যেসব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে সূর্যালোক এড়িয়ে যাওয়া তার মধ্যে অন্যতম। বাড়ির বাইরে যাওয়ার আগে উপযোগী কাপড় এবং শরীরের খোলা অংশে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করলে তা কেবল শরীরের অক্সিজেন নিয়ন্ত্রণ করে শরীরকে ফিট রাখবে তা নয়, এটি আপনার ত্বককে উজ্জ্বল এবং দীপ্তিময় করতেও সাহায্য করবে।
সঠিক বিশ্রামের জন্য প্রতিদিন ছয় থেকে আট ঘণ্টা বিশুদ্ধ ঘুম প্রয়োজন। এটি ত্বকে তারুণ্য ভাব আনার সেরা উপায়। এটি ঘুমের অভাবের কারণে হওয়া কালো দাগ দূর করতেও সাহায্য করবে।
ত্বকের যত্নে প্রস্তুত বিভিন্ন পণ্য বা সুগন্ধীতে এমন কিছু উপাদান থাকে যা অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে ত্বকে ব্রণ, ফুসকুড়ি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। সুতরাং, এসব পণ্য সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে।
অতিরিক্ত মুখ ধোয়া এবং শক্ত করে স্ক্রাব ব্যবহার করা যাবে না। এতে ত্বক এর পূর্বাবস্থায় ফিরে আসার জন্য প্রয়োজনীয় তেল থেকে বঞ্চিত হয়। হালকা ও বৃত্তাকারভাবে মুখ ধুতে হবে। এটি ত্বকে রক্ত প্রবাহ ঠিক রাখতে সহায়তা করে এবং প্রয়োজনীয় তেল মুঁছে যেতে দেয় না।
উষ্ণ পানি দিয়ে বা ঝরনার গরম পানিতে মুখ ধোয়ার পর ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে যাতে ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় তৈলাক্ত ভাব বজায় থাকে। এটি ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষায় সাহায্য করে।
স্বাস্থ্যকরা খাবার গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত ঘুমসহ একটি শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবনধারা আপনাকে এনে দেবে সুস্থ ও উজ্জ্বল ত্বক।