জরুরি খবর আদান-প্রদানের জন্য মোবাইল ফোনের জুড়ি নেই। বর্তমান যুগ হচ্ছে প্রযুক্তির যুগ। এখন যেন মোবাইল ছাড়া চলা দায়। মানুষের প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মধ্যে মোবাইল অন্যতম।
তবে এই মোবাইল ব্যবহারে যেমন সুফল রয়েছে তেমনি রয়েছে কুফল। কারণ মোবাইল ফোন শিক্ষার্থীদের মধ্যে এখন আসক্তি ছাড়াচ্ছে। এছাড়া ছোট শিশুরাও মোবাইল ফোন ছাড়া খেতে চায় না।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে যেমন যোগাযোগ সহজ হয়েছে তেমনি বেড়েছে দুর্ঘটনা।মোবাইল ফোনের যত্রতত্র ব্যবহারের ফলে মোবাইল ফোন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে।এত অনেকের মৃত্যুও হচ্ছে। তাই মোবাইল ফোন সঠিক ব্যবহার জানা জরুরি।
মোবাইল ফোনের ব্যবহার যেমনি খুব দ্রুত বেড়েছে তার সঙ্গে বেড়েছে বিস্ফোরণের ঘটনা।অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইল চার্জে দিয়ে কথা বলেন।এর ফলে বিস্ফোরণ হতে পারে ।
মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ কেন হয়?
মোবাইল ফোন চার্জ দেয়া অবস্থায় কথা বললে বিস্ফোরণ হতে পারে। মনে রাখবেন মোবাইল ফোনের ব্যাটারিই একমাত্র বিস্ফোরকের মতো। মোবাইল ফোনের ব্যাটারি চার্জ নেওয়ার সময় পাওয়ার কনজিউম করে। এ সময় যদি কথা বলা হয় তবে পাওয়ার কনজাম্পশন আরও বেড়ে যায়।তাই ব্যাটারি অতিরিক্ত তাপ সইতে না পেরে বিস্ফোরণ ঘটায়।
এছাড়া ব্যাটারি যদি নিন্মমানের হয়, ম্যাটেরিয়াল, কন্ট্রোল এবং শর্টসার্কিটের কারণে বিস্ফোরণ হতে পারে।
মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ থেকে বাঁচতে কী করবেন?
মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ থেকে বাঁচতে আমাদের কিছু করণীয় রয়েছে। আসুন জেনে নেই মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ থেকে বাঁচতে কী করবেন?
১. মোবাইল চার্জ দেওয়ার জন্য উন্নতমানের অথবা সার্টিফায়েড চার্জার ব্যবহার করুন।
২. ঘুমাতে যাওয়ার আগে মোবাইল ফোন চার্জে দেবেন না।মোবাইল চার্জে দিয়ে ঘুমাতে যাওয়া বিপজ্জনক। এতে মোবাইলের ক্ষতি হয় ও বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
৩. ফুটপাতের পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করবেন না। এ ধরনের পাওয়ার ব্যাংক মোবাইলের ব্যাটারি নষ্ট করে দিতে পারে। ঘটাতে পারে বিস্ফোরণ।
৪. অনেক সময় ধরে রোদে মোবাইল ফেলে রাখবেন না। এতে বিস্ফোরণ ঘটনার সম্ভবনা রয়েছে।
৫.নিম্নমানের ব্যাটারি ও ফোনে চার্জ দেয়া অবস্থায় কথা বলা বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।