শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৫:৫৭ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:১৬:২৫ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

আফগানিস্তান নিয়ে মতবিরোধে নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে ট্রাম্পের অপসারণ

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনকে তার পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার এক টুইটবার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার। বোল্টনের পদত্যাগের খবর জানিয়ে ট্রাম্প টুইটে লেখেন, গত রাতে আমি জন বোল্টনকে বলেছি যে, হোয়াইটে হাউজে তার সেবা আর দরকার নেই। প্রশাসনের অনেকের মতো আমিও তার অনেক পরামর্শের বিষয়ে জোরাল আপত্তি জানিয়েছি। এবং সে কারণে আমি জনকে পদত্যাগ করতে বলেছি। মঙ্গলবার সকালে জন বোল্টন পদত্যাগ করেছেন বলেও উল্লেখ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, আগামী সপ্তাহে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার নাম ঘোষণা করা হবে। আফগানিস্তানের তালেবান প্রতিনিধিদের যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণের পরিকল্পনা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনে বিভাজনের খবরের মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে অপসারণ করা হল। উত্তর কোরিয়া ও আফগানিস্তান বিষয়ে জন বোল্টন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন বলে জানা গেছে। গত বছর ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ট্রাম্পের অবস্থান সমর্থন করে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে এসেছিলেন জন বোল্টন। মতবিরোধ এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, বোল্টন নেতৃত্বাধীন জাতীয় নিরাপত্তা পর্ষদের সদস্যদের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সম্পর্ক অনেকটা শত্রু তায় রূপ নেয় বলে হোয়াইট হাউজ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বৈশ্বিক সংঘাতের প্রতি টানের কারণে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের সঙ্গে সহিংস সংঘাতে জড়াতে অনবরত চেষ্টা করে গেছেন জন বোল্টন। তার সেই চেষ্টার অংশ হিসেবে ২০১৫ সালে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টে একটি কলামও লিখেছিলেন তিনি। ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান উত্তেজনায় জন বল্টন ব্যাপক উৎসাহী ভূমিকা পালন করেছেন। ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে দায়িত্ব পালন করে আসা জন বোল্টন ছিলেন ট্রাম্পের তৃতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। তার আগে এই পদ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে মাইকেল ফ্লিন ও ম্যাকমাস্টারকে।





আরো খবর