রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ, ১৪৪৫ | ০৪:১৪ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


বুধবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৫:৩৬:০৮ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধে ব্রিটিশ সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সরকারের জাতিগত নিপীড়ন ও গণহত্যা বন্ধ করতে ব্রিটিশ সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সোমবারের দেশটির এক সংসদীয় অধিবেশনের শুনানিতে এমন বক্তব্য উঠে এসেছে। জাস্টিস ফর রোহিঙ্গা মাইনরিটি গ্রুপের উদ্যোগে একটি অনুষ্ঠানে এ বার্তা প্রচার করা হয়েছে। ব্রিটিশ এমপিদের একটি আন্তঃদলীয় প্যানেল এটির আয়োজন করেছে। কনজারভেটিভ পার্টির ক্যাথেরিন ওয়েস্ট, লেবার পার্টির রুশনারা আলী, হেলেন গুডম্যান ও লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক মুখপাত্র ব্যারোনেস শিহান এ প্যানেলের সদস্য। রুয়ান্ডা ও যুগোস্লাভিয়ায় গণহত্যার বিচারে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেন ইমারসন কিউসি, বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরে জন্ম নেয়া রোহিঙ্গা শিশু সিরাজুল ইসলাম এ অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন। সিরাজুল বলেন, আমাকে এখানে আমন্ত্রণ ও রোহিঙ্গা শিশু হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলার সুযোগ দেয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ‘আমি একটি শরণার্থী শিবিরে জন্ম নিয়েছি। এমন এক জায়গায় আমার জন্ম যেটিকে আমি নিজের মাতৃভূমি দাবি করতে পারি না। এমনকি আপনারা যেসব মৌলিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বেড়ে উঠেছেন, সেগুলো থেকেও আমি বঞ্চিত হয়েছি।’ সিরাজুল বলেন, শিশুরা সাধারণত বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা ও স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পায়। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে-এমন কোনো সুযোগ-সুবিধা আমার জীবনে আসেনি। ‘যে আশ্রয় শিবিরে আমি ছিলাম, সেটি বাংলাদেশের সরকারের আনুষ্ঠানিক নিবন্ধিত ছিল না। কাজেই পরিষ্কার পানি, শোবার জায়গা ও বাথরুমের মতো মৌলিক প্রয়োজনগুলো সেখানে অনুপস্থিত ছিল। ক্যাম্পের সেই জীবন খুবই দুর্বিষহ।’ সিরাজুলের ভাষায়-তার চেয়েও কঠিন বিষয় ছিল যে, আমি জানি যে আমার বাবা-মা যেখানে জন্মগ্রহণ করেছেন, যেটি তাদের মাতৃভূমি; সেখানে আমি কোনো দিন ফিরতে পারব না। শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা জীবনের দুর্গতির কথা শুনে কক্ষজুড়ে নীরবতা নেমে আসে। এতে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে দুর্দশার মধ্যে জীবন কাটাচ্ছেন। ওয়েস্ট বলেন, সিরাজুল ইসলাম রোহিঙ্গাদের কষ্টের যে করুণ বর্ণনা দিয়েছেন, তাতে আমাদের সবার ভেতরে নাড়া দিয়েছে। পাশাপাশি আমাদের এমনটিও মনে করিয়ে দিচ্ছে যে, রাখাইনে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর গণহত্যা এখনও চলছে। তিনি বলেন, কাজেই একটি নৈতিক ও মানবিক জাতি হিসেবে রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচারের পক্ষে আমাদের লড়াই চালিয়ে যাওয়া উচিত। অধিবেশনে জানানো হয়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চীন স্থায়ী সদস্য ও বার্মিজ সরকারের মিত্র হওয়ায় মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে কোনো প্রস্তাব পাস করা সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠানোর ক্ষেত্রে চীন বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।





আরো খবর