রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ, ১৪৪৫ | ১১:৪৮ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


বৃহস্পতিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৮:৫৫:৩৩ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

একই স্কুলের ছাত্রী, শিক্ষিকা, সুপারভাইজার এবং প্রিন্সিপালকে বিয়ে করলেন তিনি!

ইসলাম ধর্ম পুরুষের চারটি বিয়েকে বৈধ করেছে। তবে সকল স্ত্রীকে সমানভাবে মূল্যায়ন করতে হবে কিংবা স্বামীকে পক্ষপাতদুষ্ট চলবে নাই ইত্যাদি শর্তের ভিত্তিতে চারটি বিয়ে করা যায়। কিন্তু অনেক সময়ই মুসলমান পুরুষ একাধিক বিয়ের ক্ষেত্রে ইসলাম ধর্মের বিধিগুলো মেনে চলেন না। কিংবা কোনো জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ফেলেন। তার জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে রয়েছেন সৌদি আরবের একজন পুরুষ। অদ্ভুত হলেও সত্য, এক লোক একই স্কুলের চারজনকে বিয়ে করেছেন। একই স্কুলের ছাত্রী, শিক্ষিকা, সুপারভাইজার এবং প্রিন্সিপাল এখন ওই পুরুষের চার স্ত্রী। এখানে স্ত্রীদের একের সঙ্গে অন্যের সম্পর্কে তারতম্য থাকতে পারে। সতীন মনে করে কেউ একজনকে হয়তো দু'চোখে দেখতেই পারেন না। আবার হয়তো অন্য কারো সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক তার। কিংবা যার সঙ্গে স্বামীর বনিবনা একটু বেশি, তাকে নিশ্চয়ই অন্য স্ত্রীরা পছন্দ করবেন না। এসব নানা পরিস্থিতির উদয় হওয়া মোটেও বিচিত্র নয়। বরং এই মানুষটির চার স্ত্রীর সম্পর্কটা আরো বেশি জটিলতার মধ্যে পড়তে পারে। কারণ, তারা সবাই একই প্রতিষ্ঠানে আছেন। ইতিমধ্যে বিষয়টা সৌদি কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে বলে জানায় মিডিয়া। ছোটো বউ এখনো পড়ছেন। সবে সেকেন্ডারি লেভেলে ক্লাস করে যাচ্ছেন। সেখানে তার শিক্ষক আবার ঘরের সতীন। এই শিক্ষিকার সুপারভাইজার যিনি, তিনিও তার স্বামীর ঘর করেন। ওদিকে, স্কুলের প্রিন্সিপালকেও বিয়ে করে বসেছেন এই সৌদ। এ ঘটনা যিনি পড়ছেন তার অবাক না হয়ে উপায় নেই। কিন্তু ঘর ঠিক থাকলে কার কী! এখানে মনেই হতে পারে যে একই প্রতিষ্ঠানে থেকে এই চার নারী নিশ্চয়ই এক স্বামী ভাগ করে নিতে চাইবেন না। অর্থাৎ, তাদের ঘরে কেবলই অশান্তি। কিন্তু ঘটনা ভিন্ন। তারা সবাই একে অপরকে মেনে নিয়েছেন এবং তারা সুখে সংসার করছেন। স্কুল এবং স্বামী-স্ত্রীদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে জানা গেছে, স্কুলটি জাহান প্রদেশের কোনো এক স্থানে রয়েছে। যে স্ত্রী শিক্ষিকা হিসেবে কাজ করছেন, তিনি কিছুটা সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। জানিয়েছেন, তিনি বাকিদের মেনে নিয়েছেন এবং এই বিয়েগুলোর পেছনে তার সহায়তা ও সমর্থন ছিলো। তিনি আরো জানান, শিক্ষার্থী, সুপারভাইজার এবং প্রিন্সিপালকে বিয়ের পর কোনো কিছুই বদলায়নি। কিছু এমন ঘটনা নিয়ে মানুষের আলোচনা তো আর থেমে থাকে না। ওই স্কুলসহ আশপাশের এলাকা এবং মিডিয়াতেও বেশ কৌতুকপূর্ণ আলোচনা চলছেই। সূত্র: লাইফ ইন সৌদি অ্যারাবিয়া





আরো খবর