রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ, ১৪৪৫ | ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০১৮ ০৪:০৪:০১ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

উত্তেজনার মধ্যেই ট্রাম্প-এরদোগান ফোনালাপ

যুক্তরাষ্ট্র-তুরস্কের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। সম্প্রতি তুরস্কের সীমান্তবর্তী সিরিয়ার আফরিন অঞ্চলে চালানো ‘অপারেশন অলিভ ব্রাঞ্চকে’ কেন্দ্র করে দেশ দুইটির মধ্যে এখন বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই আফরিনে চলমান অপারেশনের বিরোধীতা করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধীতাকে উপেক্ষা করেই এই অঞ্চল থেকে ‘সন্ত্রাসীদের’ নির্মূল করার ঘোষণা দিয়ে গত শনিবার থেকে অপারেশন শুরু করে তুরস্কের সেনাবাহিনী। এই অপারেশন শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র-তুরস্কের মধ্যে দেখা দেয় উত্তেজনা। গত সোমবার প্রেসিডেন্ট এরদোগান এনিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কঠোর সমালোচনাও করেন। এমনকি সিরিয়ার কুর্দি ওয়াইপিজি বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র দিয়ে সহায়তা দিচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্কও করেছেন তিনি। সম্পর্কের এই টানাপোড়েনের মধ্যেই আফরিনে চলমান ‘অপারেশন অলিভ ব্রাঞ্চ’ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপ হয় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোগানের। ট্রাম্প-এরদোগানের এই ফোনালাপের বিষয়টি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত ক্যাভাসোগলুর বরাত দিয়ে জানিয়েছে ডেইলি সাবাহ। তবে, দুই নেতার মধ্যেে এ নিয়ে কী কথা হয়েছে সে বিষয়ে প্রতিবেদনটিতে কোনো উল্লেখ করা হয়নি। আর স্বাধীন কুর্দিস্থানের দাবিতে সংগ্রামরত কুর্দিস্থান ওয়ার্কার্স পার্টিকে (পিকেকে) সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলে মনে করে তুরস্ক। আর পিকেকের বর্ধিত অংশ বলে মনে করা হয় ওয়াইপিজিকে। এই দুই গ্রুপকেই সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তুরস্ক যাদেরকে নিজেদের সীমান্তের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে মনে করছে। সম্প্রতি সিরিয়ায় কুর্দিদের নেতৃত্বে একটি বিশেষ সীমান্তরক্ষী বাহিনী গঠনের ঘোষণা দেয়। এ ঘোষণার পরই গত শনিবার থেকে তুরস্ক সীমান্তবর্তী সিরীয় অঞ্চল আফরিনে বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করে। অপরদিকে, তুরস্কের অভিযান নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গত সোমবার এক বিশেষ আলোচনার আয়োজন করা হয়। কিন্তু সেখানে তুরস্কের অভিযানের ব্যাপারে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। আলোচনা শুরু পর তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেছেন, সিরিয়ার সীমান্ত লাগোয়ায় পিকেকের একটি রাষ্ট্রের কাঠামোর মতো কোনো কিছু প্রতিষ্ঠা করা মেনে নেব না। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলুর খবরে বলা হয়েছে, গত সোমবার আফরিনের শানকাল, কোরনে, বালি ও আদাহ মানলির পাশাপাশি গ্রামীণ অঞ্চল কিটা, কোরডো ও বিবনো নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন তুরস্কের সেনারা। সিরিয়ার আফরিনে চলমান অপারেশন নিয়ে তুরস্কের সেনাবাহিনী বলছে, এই অপারেশনের লক্ষ্য হলো তুরস্ক সীমান্তের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা ও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে সিরিয়ার এই অঞ্চলের জনগণকে রক্ষা করা। কোনো নির্দোষ মানুষের যাতে ক্ষতি না হয় সেদিকে সতর্কতার সঙ্গে খেয়াল রাখা হচ্ছে।





আরো খবর