শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৫:০৭ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০১৮ ১১:৫১:০০ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

ইসরাইল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্ব নিরসনে মার্কিন নতুন প্রস্তাবে বিন সালমানের মধ্যস্থতা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ‘ডীল অব দ্য সেঞ্চুরি’ বা ‘শতাব্দী চুক্তি’ সম্পর্কে প্যালেস্টাইনি নেতৃবৃন্দকে অবগত করা হয়েছে। বাহ্যত, কয়েক দশকের ইসরাইল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্ব নিরসনের লক্ষ্যে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স বিন সালমানের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। বুধবার ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থার (পিএলও) একজন কর্মকর্তা এই তথ্য জানান। টেলিফোনে তুরস্কের রাষ্টীয় সংবাদমাধ্যম ‘আনাদুলো এজেন্সি’কে পিএলও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আহমেদ মাজদালানি বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা ও তার জামাতা জেরাড কুশনার প্রস্তাবিত চুক্তির বিস্তারিত বিষয় সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে জানিয়েছেন।’ তিনি জানান, পরে বিন সালমান বিষয়টি প্যালেস্টাইনি কর্মকর্তাদেরকে অবগত করেন। দ্বন্দ্ব নিষ্পত্তির জন্য ২০০২ সালের ‘আরব শান্তি’ উদ্যোগের প্রতি সৌদির অঙ্গীকারের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। সৌদি আরব কর্তৃক প্রস্তাবিত ২০০২ সালের শান্তি উদ্যোগের প্রস্তাবে বলা হয়েছিল যে, সকল আরব রাষ্ট্র কর্তৃক ইসরাইলকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়া হবে। বিনিময়ে ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনের দখল করা সমস্ত অঞ্চল থেকে ইসরাইলিদের প্রত্যাহার করে নিতে হবে। মাজদালানি জানান, চলতি মাসে পিএলও সেন্ট্রাল কাউন্সিলের বৈঠকের পর এই বিষয়ে ‘চূড়ান্ত পদক্ষেপ’ নেবে ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব। ‘ডীল অব দ্য সেঞ্চুরি’ শব্দটির মাধ্যমে মূলত দীর্ঘ দিনের প্যালেস্টাইন-ইসরাইল বিবাদ চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ‘ব্যাক-চ্যানেল’ পরিকল্পনা। উচ্চাভিলাষী এই পরিকল্পনায় এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রকে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। যাইহোক, এই পরিকল্পনার বিস্তারিত বিবরণ এখনো অস্পষ্ট রয়ে গেছে। মাজদালানির মতে, এই পরিকল্পনাটি মূলত শিয়া ইরানের বিরুদ্ধে ‘আরব-ইসরাইলি’ জোট। পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি নির্মাণ বন্ধ করতে ইসরাইলের অস্বীকৃতির কারণে ২০১৪ সালে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যকার আলোচনা ভেঙ্গে যায়। গত ডিসেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। তার এই ঘোষণাকে আরব ও মুসলিম বিশ্বের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের অনেক মিত্র দেশও তার এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান ওআইসির জরুরি বৈঠক ডেকে পূর্ব জেরুজালেমকে প্যালেস্টাইনের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। মুসলিম, খ্রিস্টান, ইহুদি তিন ধর্মের মানুষের কাছেই পবিত্র স্থান জেরুজালেম নিয়ে ফিলিস্তিন-ইসরাইল দ্বন্দ্ব চলছে যুগের পর যুগ। জেরুজালেমকে রাজধানী হিসেবে দাবি করে আসছে ইসরাইল। অপরদিকে পূর্ব জেরুজালেমকে স্বাধীন ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে চান দখলদার ইসরাইলিদের বিরুদ্ধে সংগ্রামরত ফিলিস্তিনিরা। ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধে পশ্চিম জেরুজালেম ইসরাইলের দখলে গেলে আল-আকসা মসজিদসহ অনেকগুলো ধর্মীয় স্থাপনা সম্বলিত পূর্ব জেরুজালেম জর্ডানের দখলে থাকে। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধে পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় ইসরাইল। এরপর থেকে মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কট চলছে, যা মেটাতে যুক্তরাষ্ট্রও মধ্যস্ততাকারীর ভূমিকা চালিয়ে আসছে।





আরো খবর