সুনামগঞ্জের দিরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী হোমায়রা আক্তার মুন্নির ঘাতক বখাটে এহিয়া সরদারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার সকালে সুনামগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার এই দণ্ড প্রদান করেন।
২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে ঘোষণা দিয়ে মুন্নির বাসায় গিয়ে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছিল ঘাতক ইয়াহইয়া সরদার। এ ঘটনায় ১৮ ডিসেম্বর হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন মুন্নির মা। ওই সময়ে মুন্নি হত্যার ঘটনাটি সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি করে। হত্যার ৫ দিন পর পুলিশ ঘাতককে গ্রেপ্তার করেছিল।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সনের ১৪ ডিসেম্বর দিরাই শহরের বাসায় গিয়ে মুন্নিকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসে এহিয়া সরদার। পরে ১৬ ডিসেম্বর রাতে দিরাই পৌর শহরের আনোয়ারপুরে স্কুলছাত্রী হোমায়রা আক্তার মুন্নির বাসায় গিয়ে ছুরি মেরে তাকে হত্যা করে। ঘটনাস্থলেই রক্তক্ষরণে মারা যান স্কুলছাত্রী মুন্নি। হত্যার ৫ দিন পরে সিলেটের জালালাবাদ থানার মাসুকপুর গ্রামসংলগ্ন দশশাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘাতক এহিয়া মুন্নির চাচার দোকানে কাজ করার সুবাদে তার সঙ্গে পরিচয় ঘটে।
একপর্যায়ে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে তাকে হত্যা করেছিল।
বুধবার আলোচিত এই মামলার রায় দেন সুনামগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার। তিনি আসামি এহিয়া সরদারকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।
রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে পিপি ড. খায়রুল কবীর রোমেন বলেন, ঘাতক এহিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এদিকে দ্রুত সময়ে আলোচিত এই খুনের রায় প্রদান করায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন নিহতের পরিবার ও সুধীজন।