নতুন বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য টানা তৃতীয়বার সরকার গঠনের শুভ যাত্রা। তিনি সরকার গঠন করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
এ বছর ইংরেজি নববর্ষ শুরু হচ্ছে আজ মঙ্গলবার। জ্যোতিষ শাস্ত্র মোতাবেক, মঙ্গল হলো দেবসেনাপতি। এ রাশির ফলে কুমরি ও অঙ্গার গ্রহের প্রভাব থাকবে। ফলে বিপরীত ভাবের প্রতিফলন ঘটবে। এ ছাড়া বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট সরকার হটানোর আন্দোলন ও কর্মসূচি দিলেও সফল হবে না। এমনকি বিএনপির ভুল রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে দলে ভাঙন দেখা দিতে পারে। গতকাল জ্যোতিষ লিটন দেওয়ান চিশতি, ড. কে সি পাল ও ড. রামপ্রসাদ ভট্টাচার্য্যরে সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। তারা আরও বলেছেন, বিএনপি আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বছরের বিভিন্ন সময়ে হরতালসহ নানা কর্মসূচি দিলেও সাধারণ মানুষ এতে আশাব্যঞ্জক সাড়া দেবে না। বছরের বেশির ভাগ সময় দেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিবেশ বিরাজ করবে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে শুরু হবে ভাঙা-গড়ার খেলা। এ ছাড়া একাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়ে এমপিরা আওয়ামী লীগে যোগদান করবেন। দেশ পরিচালনা ও মানবতায় বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় শেখ হাসিনা বিদেশ থেকে বিরল সম্মান লাভ করার সম্ভাবনা আছে। ২০১৯ সালে অগ্নিকা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রাণহানি ও হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে। এদিকে বিচ্ছিন্ন কিছু সহিংস এবং হামলার ঘটনা সফলভাবে মোকাবিলা ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সফলভাবে শেষ করতে পারায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে। চলমান রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের দিকে এগোবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন শুরু হবে। দাতাসংস্থার সঙ্গে সরকারের বিদ্যমান সম্পর্ক নতুন দিগন্তের পথ দেখাবে। পাশাপাশি কূটনৈতিক সফলতাও বাড়বে। জ্যোতিষীর মতে, ২০১৯ সাল হবে বাংলাদেশের জন্য সফলতার বছর। ব্যবসা ও শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বছরের মাঝামাঝি ঘুরে দাঁড়াবে শেয়ারবাজার। এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা, ভূমিকম্প, অতিবৃষ্টিতে প্রাণ ও শস্যহানির আশঙ্কা রয়েছে। তবে তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। আমদানি বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পাবে। রাজনৈতিক অঙ্গনে দেখা দেবে নানা জটিলতা। জ্যোতিষীরা আরও বলেন, জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত থাকবে রাজনৈতিক অস্থিরতা। লিটন দেওয়ান চিশতি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ভুল রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল মাথা চাড়া দেবে। ফলে দলে ভাঙন দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত কিছুটা সহিংস রূপ নিতে পারে। তিনি আরও বলেন, দেশের সার্বিক উন্নতি বিগত বছরের তুলনায় আরও বৃদ্ধি পাবে। ফলে বিদেশে সরকারের সুনাম ও গ্রহণযোগ্যতা আরও বেড়ে যাবে। বিদেশি দাতা ও সাহায্য সংস্থাগুলো সহযোগিতা বাড়িয়ে দেবে। প্রধানমন্ত্রীর খ্যাতি ও কর্মদক্ষতা প্রশংসিত হবে। আইনি জটিলতায় এ বছর খালেদা জিয়া জামিন নাও পেতে পারেন। ড. কে সি পাল বলেন, বিএনপির টানাপড়েন দলের ভিতরে নতুন করে সমস্যার জন্ম দেবে। দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি ঘটতে পারে। এ বছরও তারেক রহমানের দেশে ফেরা অনিশ্চিত থাকবে। তুচ্ছ কারণে সহিংস রাজনৈতিক কার্যকলাপ কিছুটা বেড়ে যেতে পারে। ড. রামপ্রসাদ ভট্টাচার্য্যরে মতে, নতুন বছরের শুরুতে এক জোট ত্যাগ করে অন্য জোট গঠনসহ রাজনীতির নানা ক্ষেত্রে নতুন মেরুকরণ হতে পারে। দেশে বিদেশি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়বে।