শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ, ১৪৪৫ | ০৮:৪০ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৬:১৩:৩৪ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

এক বাড়িতে চার নারীকে ধর্ষণ

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় এক বাড়ির চার নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ১২ ডিসেম্বর রাতে এই ঘটনা ঘটে। সেদিন বাড়িতে কোনো পুরুষ সদস্য ছিল না। ধর্ষণের শিকার চার নারীর তিনজন জা। অন্য নারী তাঁদের আত্মীয়। তিনি বেড়াতে এসেছিলেন। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, জানালার গ্রিল কেটে সেদিন চার ডাকাত বাড়িতে ঢুকেছিল। ধর্ষণের পর ডাকাতেরা টাকা, স্বর্ণালঙ্কারও নিয়ে গেছে। ঘটনার পাঁচ দিন পর গত রোববার (১৭ ডিসেম্বর) কর্ণফুলী থানায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হয় গতকাল সোমবার। মামলা করতে সময় লাগার পেছনে পুলিশের অসহযোগিতা ছিল বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম। পরিবারের সদস্যরা বলেন, ঘটনার পরদিন সকালে পরিবারের সদস্যরা কর্ণফুলী থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তাঁদের পটিয়া থানায় পাঠায়। পটিয়া থানার পুলিশ তাঁদের আবার কর্ণফুলী থানায় পাঠায়। পরে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নির্দেশে পুলিশ সক্রিয় হয়। মামলা নেওয়ার পর এ ঘটনায় এ পর্যন্ত দুজন গ্রেপ্তারও হয়েছে। রোববার রাতে কর্ণফুলী থানার পুলিশ মোহাম্মদ সুমন ওরফে আবু (২৩) নামের এক যুবক এবং গতকাল সোমবার কালু নামের আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল সকালে ধর্ষণের শিকার চার নারীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম বলেন, ১২ ডিসেম্বর রাত প্রায় একটার দিকে বাড়ির একটি কক্ষের জানলার গ্রিল কেটে চার ডাকাত ভেতরে প্রবেশ করে। তখন ঘুমিয়ে ছিলেন বৃদ্ধা মা, তাঁর তিন ছেলের স্ত্রী ও বেড়াতে আসা এক আত্মীয়া। ঘরে ঢুকে ডাকাতেরা প্রথমে ১৫ ভরি স্বর্ণ, টাকা ও মূল্যবান মালামাল লুট করে। বাড়িতে কোনো পুরুষ সদস্য দেখতে না পেয়ে চার নারীকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে ডাকাতেরা। দিদারুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের শিকার নারীদের এলাকার সন্দেহভাজন কয়েকজন তরুণের ছবি দেখানো হয়। এর মধ্যে দুজনকে তাঁরা শনাক্ত করেন। ওই দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। মামলা নিতে দেরি করার কারণ জানতে চাইলে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুল মোস্তফা বলেন, প্রথমে তাঁরা ধর্ষণের কথা বলেননি। তাঁরা গ্রামের নামও ভুল বলেছিলেন। সেটি পটিয়া থানায় পড়ায় তাঁদের সেখানে পাঠানো হয়েছিল। পরে ২-১ দিন পর এসে তাঁরা ঠিক নাম বলেন। তাই কর্ণফুলী থানায় অভিযোগ নেওয়া হয়েছে।





আরো খবর