সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে ধর্ষণের ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট পেয়েছে পুলিশ। রিপোর্টে ৪ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। অন্যরা ধর্ষণে সহযোগিতা করেছে বলে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট পাওয়ার পর পুলিশ মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, ‘পুলিশের হাতে ইতোমধ্যে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ডিএনএ রিপোর্ট এসেছে। আদালতে আসামিদের জবানবন্দি, ডিএনএ রিপোর্ট সব মিলিয়ে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের প্রস্তুতি চলছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট মহানগর পুলিশের (দক্ষিণ) এক কর্মকর্তা জানান, প্রাপ্ত ডিএনএ রিপোর্টে জানা যায় সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান রনি ও অর্জুন লস্কর ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। মামলার অন্য আসামিরাও ধর্ষণকাণ্ডে সহযোগিতা করেছে বলে পুলিশ সত্যতা পেয়েছে। অভিযোগপত্রের কাজ প্রায় শেষ।
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত ৮ জন আসামিকে পর্যায়ক্রমে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। রিমান্ড শেষে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় তারা। জবানবন্দিতে প্রধান আসামি সাইফুর, তারেক, শাহ মাহবুবুর ও অর্জুন লস্কর ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। এছাড়া রবিউল ও মাহফুজুর ধর্ষণে সহায়তা করার কথা আদালতে স্বীকার করে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হন। জোরপূর্বক তাকে ছাত্রাবাসের ভেতরে প্রাইভেটকারে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের কর্মীরা। এ সময় স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানায় গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।