ব্ল–ব্লাড সুপার মুন ও পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ আবার আকাশে দেখা মিলবে ৩১ জানুয়ারি। পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ ও ব্ল–ব্লাড সুপার মুন একসঙ্গে শেষ দেখা মেলে দেড়শ’ বছর আগে। একসঙ্গে শেষ দেখা মেলছে ১৮৬৬ সালের ৩১ মার্চ।
বিজ্ঞানীদের মতে, এ সময় পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ, পাশাপাশি চাঁদকে স্বাভাবিকের তুলনায় আকারে ১৫ ভাগ বড় এবং ৩০ ভাগ উজ্জ্বল ও লালচে-কমলা দেখাবে।
বৈজ্ঞানিক ভাষায় একে ব্লু-ব্লাড সুপার মুন এক্লিপস বলে। সেদিন চাঁদ আসলে নীল নয়, লাল আভার মতো একটি জ্বলন্ত কমলা রঙে উপস্থিত হবে বলে এর বৈজ্ঞানিক নামটি এরকম।
নাসার বরাত দিয়ে টাইম ম্যাগাজিন জানিয়েছে, ৩১ জানুয়ারি বুধবার সূর্য ও চাঁদের মাঝ দিয়ে পরিক্রমার সময় পৃথিবীর ছায়া পড়বে চাঁদের ওপর। আর তখনই দেখা যাবে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ। বাংলাদেশের আকাশে সন্ধ্যা ৭টা ২৯ মিনিট থেকে রাত ১টা ৮ মিনিট পর্যন্ত দেখা যাবে এ বিস্ময়কর মহাজাগতিক দৃশ্য।
নাসার মতে, চন্দ্রগ্রহণের সময় সূর্যের পরোক্ষ আলো চাঁদের ওপর পড়ার পর পৃথিবী বায়ুমণ্ডলের ভেতর দিয়ে তার পথ তৈরি করে। যেখানে বেশির ভাগ ছড়িয়ে থাকা নীল রঙের আলো ফিল্টার হয়। ফলে পৃথিবী থেকে চাঁদকে রক্ত লাল, গাঢ় বাদামি বা ধূসর রঙে দেখা যেতে পারে।
জ্যোতির্বিজ্ঞান বর্ষপঞ্জি অনুসারে এটি দ্বিতীয় সুপার মুন, যেটি পৃথিবীর খুব কাছে অবস্থান করবে। নাসার বৈজ্ঞানিক আর্নেস্ট রাইটের মতে, ৩৫ বছর আগে এরকম ঘটনা ঘটেছিল।
বৈজ্ঞানিক ফ্রেড এসপেনাক জানান, ১৯৮২ সালের ৩০ ডিসেম্বর আংশিক ব্ল–সুপার মুন ও চন্দ্রগ্রহণের শেষ দেখা মেলে।
নাসা জানায়, মধ্য ও পূর্ব এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা, ইন্দোনেশিয়া, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, পশ্চিম যুক্তরাষ্ট্র, আলাস্কা, উত্তর পশ্চিম কানাডা, ভারত এবং বাংলাদেশ থেকে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এরকম দেখা যাবে। আবার এ বছরেরই ২৭ জুলাই, দ্বিতীয়বারের মতো মঙ্গলকেও দেখা যাবে জ্বলজ্বলে চেহারায়। পাশাপাশি দীর্ঘক্ষণ থাকবে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ।