সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ নিয়ে ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। বাসা থেকে পরীমনিকে বিদেশি মদ ও বিপুল পরিমাণ মাদকসহ আটকের পর র্যাবের প্রধান কার্যালয়ে নেওয়া হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
চিত্রনায়িকা পরীমনির গ্রেফতার হওয়ার পর বিষয়ে একে একে চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য বের হয়ে আসছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে। সিনেমায় অভিনয়ের আড়ালে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়া, মাদক গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
এসব তথ্যের মধ্যে পরীমনির ব্যবহৃত ফিয়াট অটোমোবাইলসের ‘মাসেরাতি’ ব্র্যান্ডের গাড়িটি নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। সাড়ে তিন কোটি টাকার গাড়িটি পরীমনিকে কে উপহার দিয়েছেন, সে বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। যদিও পরীমনির ওই গাড়ি কেনার বিষয়ে বরাবর আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন। বলেছেন, তিনি গাড়িটি ব্যাংক লোন নিয়ে কিনেছেন।
গত ৪ আগস্ট নিজ বাসা থেকে মাদকসহ গ্রেফতার করা হয় পরীমনিকে। পরে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা যায়, পরীমণি গাড়িটি ব্যাংক লোন অথবা ক্যাশ টাকা দিয়ে কেনননি।
দেশের একটি বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ওই সম্পর্কের ভিত্তিতে পরীমনি তার কাছ থেকে গাড়িটি উপহার হিসেবে পেয়েছেন। সূত্র আরও জানায়, পরীমনির সঙ্গে সম্পর্ক থাকা ওই ব্যাংক চেয়ারম্যানের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তিনিও নজরদারিতে রয়েছেন। এছাড়া ওই ব্যাংকে পরীমনির বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেগুলো ইতোমধ্যে ফ্রিজ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৪ শে জুন তার সাদা রঙের হ্যারিয়ার গাড়িটি দুর্ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যায়। এর ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই তিনি প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার রয়েল ব্লু-রঙের মাসেরাতি গাড়ি কেনেন। ইতালিয়ান অভিজাত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফিয়াট অটোমোবাইলসের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ‘মাসেরাতি’।