বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০১:২৯ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০ ১২:০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

কপিরাইট আইন লংঘনের অভিযোগ জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী পার্থ বড়ুয়ার বিরুদ্ধে

‘আইপিডিসি আমাদের গান’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী পার্থ বড়ুয়ার সংগীতায়োজনে ‘যুবতী রাধে’ গানটি প্রকাশ হয়েছে। এটি গেয়েছেন জনপ্রিয় দুই তারকা মেহের আফরোজ শাওন ও চঞ্চল চৌধুরী। তাদের কণ্ঠে গানটি বেশ সাড়া ফেলেছে।

এ গান নিয়ে বেধেছে বিতর্ক। আইপিডিসি গানের পরিচয় দিতে গিয়ে লিখেছে, এ গান সংগৃহীত। সেখানেই বিপত্তি। গানটি মূলত সরলপুর ব্যান্ডের। তাই তারা আইপিডিসির পরিচয় নিয়ে আপত্তি তুলেছে।

সেই সঙ্গে অনুমতি ছাড়া কপিরাইট আইন ভঙ্গ করে তাদের গান বাজারজাত করার জন্য প্রতিবাদ করে এটি সরিয়ে নেয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। গান সরিয়ে ক্ষমা না চাইলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সরলপুর ব্যান্ডের মুখপাত্র এবং লিড গিটারিস্ট মারজিয়া তুরিন।

তিনি বলেন, ‘আমরা সরলপুর ব্যান্ড ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশে সংগীত চর্চা করে আসছি। এ পর্যন্ত আমাদের ৫০টির মতো মৌলিক গান তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন কনসার্ট, টেলিভিশন লাইভ শোতে আনরিলিজ ট্র্যাক হিসেবে ১০-১২টি গান ইতোমধ্য  শ্রোতামহলে দারুণ জনপ্রিয় হয়েছে।’

‘এর মধ্যে আমাদের লোকজ ধারার মৌলিক গান ‘যুবতী রাধে’ মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, গানটি নিয়ে মানুষের মাঝে নানা ধরনের বিভ্রান্তিও ছড়িয়ে পড়েছে যে এটি ময়মনসিংহ গীতিকা থেকে সংগৃহীত একটি গান। মূলত গানটি আমাদের ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা ভোকাল ও গিটারিস্ট তারিকুল ইসলাম তপনের লেখা ও সুর করা গানটি সরলপুর ব্যান্ড শুরু থেকেই পরিবেশন করে আসছে। কিন্তু বিভিন্ন সময় আমাদের গানটি অনেকেই নিজের বলে প্রকাশের চেষ্টা করে এসেছেন। ফলে ২০১৮ সালে আমরা গানটির কপিরাইট সংগ্রহ করি।’

আইপিডিসির বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “গত ২০ অক্টোবর ‘আইপিডিসি আমাদের গান’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী পার্থ বড়ুয়ার সংগীতায়োজনে জনপ্রিয় দুই তারকা মেহের আফরোজ শাওন ও চঞ্চল চৌধুরীর কণ্ঠে গানটি প্রকাশ করা হয়। যাতে আমাদের গানটিকে লোকজ গান হিসেবে সংগৃহীত বলে উল্লেখ করা হয়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে গানটি ইউটিউব কর্তৃপক্ষ তাদের চ্যানেল থেকে সরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড কর্তৃপক্ষ গানটি তাদের ফেসবুক পেজসহ বিভিন্ন পেজ থেকে প্রকাশ করে আমাদের মেধাস্বত্বকে আরও বিপন্ন করে তুলছে। তারা এখান থেকে গানটি সরিয়ে ক্ষমা না চাইলে আমরা আইনের আশ্রয় নেব। এ ব্যাপারে আমরা কপিরাইট কর্তৃপক্ষের কাছে সুষ্ঠু পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছি।”

 






আরো খবর