প্রতারণার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা আরিফ। তবে অন্য মামলার কারণে তাঁকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে। গত ২২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিনের আদেশ দেন। তবে আজ রোববার বিষয়টি জানাজানি হয়।
এ বিষয়ে ডা. সাবরীনার আইনজীবী প্রণব কান্তি ভৌমিক বলেন, নির্বাচন কমিশনের করা মামলায় দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ জামিন দিয়েছিলেন। তবে ইসির মামলায় জামিন পেলেও কারামুক্ত হতে পারছেন না ডা. সাবরীনা।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, জামিনযোগ্য ধারায় ডা. সাবরীনাকে আদালত জামিন দিয়েছেন। এ ধারাগুলোতে আদালত জামিন দিতে বাধ্য। এত দিন পরে জানাজানির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি বড় কোনো মামলা না, তাই হয়তো স্মরণ ছিল না।’
করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন ডা. সাবরীনা। কারামুক্ত হতে হলে তাঁকে এ মামলাতেও জামিন পেতে হবে। সাবরীনাকে কারামুক্ত করতে আইনি লড়াই চলছে বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী প্রণব কান্তি ভৌমিক।
গত ৩০ আগস্ট ডা. সাবরীনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বর্তমানে সাবরিনার দুটি এনআইডি কার্ড সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চায়। সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরীনা শারমিন হোসেন নামে। এটিতে জন্ম তারিখ দেওয়া ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে জন্ম তারিখ ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর এইচ হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী।
এদিকে, গত ২ নভেম্বর এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় আদালত আগামী ৩ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেন।
করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ডা. সাবরীনাসহ আটজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে আছে।