বরিশালের বাকেরগঞ্জে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির এক সদস্যর বিরুদ্ধে সিরিয়াল ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই স্কুলের এক ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে তার ধর্ষণের ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়।
যৌন নিপীড়নের শিকার এক ছাত্রীর মা গত বুধবার অভিযুক্ত নওরোজ হীরার বিরুদ্ধে বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু সোমবার বিষয়টি জানাজানি হয়।
অভিযুক্ত নওরোজ হীরা বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় কাকরধা এ কে এম ইনস্টিটিউশন পরিচালনা কমিটির সদস্য।
মানবাধিকার সংগঠক হিসেবেও এলাকায় তার পরিচিতি রয়েছে। এক সন্তানের জনক হীরাকে কয়েক বছর আগে তার স্ত্রী তালাক দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
অভিযোগ রয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে গত চার বছরে হীরা ১১ ছাত্রীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করেছেন। ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে রেখে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই ছাত্রীদের অনৈতিক সম্পর্কে বাধ্য করতেন।
সম্প্রতি নওরোজ হীরার সঙ্গে অপর একজনের মারামারির ঘটনায় তার পকেট থেকে মুঠোফোন পড়ে যায়। পরে আরেকজন ওই মুঠোফোন কুড়িয়ে পেলে তার ভেতরের মেমোরি কার্ডে অনেক ছাত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্কের ভিডিও চিত্র ফাঁস হয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে হীরা আত্মগোপনে রয়েছেন।
অভিযুক্ত নওরোজ হীরার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গত বৃহস্পতিবার কাকরধা স্কুল চত্বরে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। তারা হীরাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, নওরোজ হীরার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন এক ছাত্রীর মা। ওই ছাত্রী সম্পর্কে নওরোজ হীরার ভাতিজি হয়। মামলার অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন ওসি আবুল কালাম।