রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর মুসলিমবাগ এলাকায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে তানিয়া আক্তার (১৬) নামের এক কিশোরী খুন হয়েছে।
আজ রবিবার বিকেল ৪টার দিকে স্বামী আল আমিনের ছুরিকাঘাতে আহত হয় সে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
মৃত তানিয়ার বড় ভাই মোহম্মদ রুবেল জানান, স্থানীয় একটি স্কুলের ৯ম শ্রেণিতে পড়ালেখা করা অবস্থায় গত ৮-৯ মাস আগে পুরান ঢাকার ইসলামবাগের আল আমিন (২৭) নামের এক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে তানিয়া। কয়েকদিন পালিয়ে থাকার পর তারা বাড়িতে ফিরে আসলে উভয়ের পরিবারর তাদের বিয়ে মেনে নেয়। কিছুদিন ভালো থাকলেও আল আমিনের মাদকাসক্তি ও কোন কাজ না করার জন্য আস্তে আস্তে তাদের সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। প্রায়ই টাকা পয়সা সহ বিভিন্ন কারণে তাদের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি হতে থাকে। প্রায় সময়ই তানিয়াকে মারধর করতো সে।
ভাই রুবেল জানান, গত ৯দিন আগে স্বামীর সাথে আবার ঝগড়া বাধলে তানিয়া স্বামীর বাসা থেকে কামরাঙ্গীরচর মুসলিমবাগে তার বাবার বাসায় চলে আসে। এরপর স্বামী আল আমিনের সাথে আর সংসার করবেনা বললে স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এরই জেরধরে আজ বিকেলে কামরাঙ্গীরচর তানিয়ার কাছে আসে আল আমিন। কেন তানিয়া আল আমিনের সাথে সংসার করবেনা তা নিয়ে ঝগড়া শুরু করে। এক পর্যায়ে মুসলিমবাগের তাদের বাসার সামনের রাস্তার উপর তার সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে তানিয়ার পেটে ২টি আঘাত করে। এসময় থামাতে গেলে শাশুড়ি আনোয়ারা বেগমকেও চোখের পাশে আঘাত করে পালিয়ে যায় আল আমিন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
৩ ভাইবোনের মধ্যে ছোট তানিয়া। তার বাবা আবু তাহের পেশায় বাবুর্চি কাজ করে এবং মা আনোয়ার অন্যের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করে। কামরাঙ্গীরচর মুসলিমবাগে মতি কন্টেকটারের বাসায় ভাড়া থাকে তানিয়ার মা বাবা।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) বাচ্চু মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ময়না তদন্তের জন্য লাশটি মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।