মাগুরা : এক স্কুলশিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। মাগুরার নারী ও নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শেখ মফিজুর রহমান বৃহস্পতিবার এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলার বাদী জেলার সদর উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
ওই স্কুলশিক্ষিকার অভিযোগ, একটি ব্যাংকে চাকরির জন্য ২০১৫ সালের ১৮ এপ্রিল জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি শেখ রেজাউল ইসলামের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেন। সেদিনের পরিচয়ের সূত্র ধরে রেজাউল ইসলাম সুমন নামে অপর এক ছাত্রলীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডেকে নিয়ে বিয়ের আশ্বাস ও নানাভাবে ভয় দেখিয়ে প্রায়শই তাকে ধর্ষণ করে। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লেও বিয়ের আশ্বাসের পাশাপাশি ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক গর্ভপাত করান ওই নেতা। কিন্তু বিয়ের বিষয়টি চূড়ান্ত না করে উল্টো বন্ধুদের দিয়ে একাধিকবার তাকে হত্যার হুমকি দেন রেজাউল। যে কারণে বাধ্য হয়ে তিনি প্রতিকার চেয়ে এই মামলাটি দায়ের করেছেন।
স্কুলশিক্ষিকার দায়েরকৃত মামলাটির আইনজীবী ওমর ফারুক জানান, ওই স্কুলশিক্ষিকার অভিযোগ দায়েরের পর মাগুরার নারী ও নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক শেখ মফিজুর রহমান ঘটনা তদন্তের জন্য সদর উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা সালাম আকতারকে দায়িত্ব দেন। এ ঘটনার পর মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় এবং তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন বলেন, আদালত থেকে তাকে গ্রেফতারের বিষয়ে কোনো কাগজপত্র আসেনি। তবে এমন নির্দেশনা পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।