প্রতারণার অভিযোগে বাংলাদেশিসহ ৫ জনকে ৩১ বছরের জেল দিয়েছে বৃটেনের আদালত। প্রতারক চক্রের হোতা বাংলাদেশির নাম আবুল কালাম মুহাম্মদ রেজাউল করিম (৪২)।
তিনি লন্ডনে একজন আইনের শিক্ষার্থী। খবর টেলিগ্রাফের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রেজাউল করিম বৃটেনে গড়ে তুলেছিল প্রতারণার একটি বড় নেটওয়ার্ক। এই চক্র ৭৯টি ভুয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশিদের নকল ডকুমেন্ট তৈরি করে দিতো। সেসব ব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে ভিসা আবেদন করা হতো। এসব অভিযোগে ওই চক্রের ৫ সদস্যকে মোট ৩১ বছরের জেল দেয়া হয়েছে।
এছাড়া তারা ৬ বছর সময়ে এইচএম রেভেন্যু অ্যান্ড কাস্টমস (এইচএমআরসি) থেকে প্রতারণার মাধ্যমে তারা দাবি করেছে এক কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড। তদন্তে জানা গেছে, এই চক্রের সঙ্গে রেজাউলের সঙ্গে জড়িত তার শ্যালক এনামুল করিম (৩৪), কাজী বরকত উল্লাহ (৩৯), হিসাবরক্ষক জলপা ত্রিবেদী (৪১) ও মোহাম্মদ তমিজ উদ্দিন (৪৭)।
যেসব অভিবাসী তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও বৃটেনে অবস্থান করতে চান তাদেরকে অস্থায়ী ভিসা তৈরি করে দিতো তারা।
এ জন্য প্রতিজনের কাছ থেকে আদায় করতো কমপক্ষে ৭০০ পাউন্ড করে। এসব মক্কেলকে তারা তাদের কর্মচারী হিসেবে দেখাতো। তাদের জন্য তারা ভুয়া বেতনের স্লিপ তৈরি করতো। প্রায় ৯০০ ভিসা আবেদনে তারা ভুয়া তথ্য দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে টায়ার-১ ভিসা নিশ্চিত করার চেষ্টা হয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্ত করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্টের ক্রিমিনাল অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল ইনভেস্টমেন্ট (সিএফআই) টিম।
অভিযুক্তদেরকে ২৩ নভেম্বর সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্টে দণ্ডিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রেজাউল করিম, এনামুল করিম ও বরকত উল্লাহকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে তাদের অনুপস্থিতিতে। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে রেজাউল করিমকে দেয়া হয়েছে ১০ বছর ৬ মাসের জেল। এনামুল করিমকে দেওয়া হয়েছে ৯ বছর ৪ মাসের জেল ও বরকত উল্লাহকে দেওয়া হয়েছে ৫ বছর ১০ মাসের জেল। ত্রিবেদীকে দেওয়া হয়েছে তিন বছরের জেল। আর তমিজউদ্দিনকে আড়াই বছরের।